‘এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছু দিতে হবে এটা আমিও জানি’

নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর মোহাম্মদ আশরাফুলকে নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেছিলেন, এই মুহুর্তে জাতীয় দলে তার জায়গা নেই। ফিরতে হলে পাশ করতে হবে অনেক পরীক্ষায়, দিতে হবে আরও অনেক কিছু। প্রধান নির্বাচকের এই মনোভাবের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত আশরাফুল নিজেও।
Mohammad Ashraful
ছবি: ফেসবুক থেকে

নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর মোহাম্মদ আশরাফুলকে নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেছিলেন, এই মুহুর্তে জাতীয় দলে তার জায়গা নেই। ফিরতে হলে পাশ করতে হবে অনেক পরীক্ষায়, দিতে হবে আরও অনেক কিছু। প্রধান নির্বাচকের এই মনোভাবের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত আশরাফুল নিজেও।

বুধবার জাতীয় ক্রিকেট লিগের ঢাকা মেট্রোপলিটন দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা হয় মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ফিটনেস টেস্ট দিতে এসে সাবেক এই অধিনায়ক কথা বলেন নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে।  

ভক্তদের কান কথায় না মজে বাস্তবতা বুঝে আশরাফুলেরও উপলব্ধি প্রধান নির্বাচকের মতোই, ‘অবশ্যই এটা শুধু নান্নু ভাই না। এটা আমিও জানি। আমাকে বাংলাদেশ দলে খেলতে হলে এক্সট্রা অর্ডিনারি পারফর্মেন্স দিতে হবে। যেটা আমি ঢাকা লীগ  গর বছর করেছিলাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক লীগে পাঁচ সেঞ্চুরি, টানা তিনটি সেঞ্চুরি। তো অবশ্যই আমাকে বাংলাদেশ দলে খেলতে হবে এমন কিছুই করতে হবে।’

বাড়তি কিছু আগেও করে দলে ফেরার ইতিহাস টেনে আশরাফুলের আশা ফের চমক দেখাবেন তিনি, ‘আমি ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের সাথে বাদ পড়ার পর ২৬৩ রানের ইনিংস খেলে দলে ফিরেছিলাম। আমি সবসময় বিশ্বাস রেখেছি, আমি বাংলাদেশের হয়ে খেললে আলাদা কিছু করব, তারপর হয়তো বা আমি আলোচনায় আসব।’

‘এনসিএলে সুযোগ পেলে ১০০ রান করলে সেটাকে ১৫০ রানে রুপান্তর করার চেষ্টা করব। স্টার্ট পেলে বড় বড় ইনিংস খেলা লক্ষ্য থাকবে। তখনই আসলে বিবেচনায় আসা যাবে।’

বুধবার মিরপুরে বিপ টেস্ট দিয়েও সন্তুষ্ট এই ক্রিকেটার। নিজের ফিটনেস লেভেল আন্তর্জাতিক মানে আছে বলে তার দাবি,  ‘আজ ১১.৪ (১২ তে) এসেছে, বিপ টেস্টে যা খুবই ভাল। আশা করব যে সামনে আরও উন্নতি হবে। । আমি মনে করি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিটনেসের মান এমনই হয়। আরও উন্নতি করতে পারব, এটা আমার বিশ্বাস।’

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago