সেই মালদ্বীপই সাফের ফাইনালে

গ্রুপ পর্বে কোন গোলই করতে পারেনি দলটি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে পেল ১ পয়েন্ট। পরে টস ভাগ্য জিতে সেমি-ফাইনালে নাম লেখায় মালদ্বীপ। আর সেই মালদ্বীপই খেলবে সাফ সুজুকি কাপের ফাইনালে। বুধবার নেপালকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালের টিকেট কাটে ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
গোলের পর মালদ্বীপের খেলোয়াড়দের উল্লাস। ছবি : ফিরোজ আহমেদ।

গ্রুপ পর্বে কোন গোলই করতে পারেনি দলটি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে পেল ১ পয়েন্ট। পরে টস ভাগ্য জিতে সেমি-ফাইনালে নাম লেখায় মালদ্বীপ। আর সেই মালদ্বীপই খেলবে সাফ সুজুকি কাপের ফাইনালে। বুধবার নেপালকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালের টিকেট কাটে ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচের শুরু থেকে নিষ্প্রভ থাকা ইব্রাহীম হাসান ওয়াহেদ শেষ দিকে একাই করলেন দুটি গোল। আর দলকে শুরুতেই এগিয়ে নিয়েছিলেন অধিনায়ক আবদুল আকরাম ঘানি। সব মিলিয়ে বড় জয়ের সন্তুষ্টি নিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারের লড়াই শনিবার মাঠে নামবে মালদ্বীপ।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে নেপাল। গোল করার মতো সুযোগ তৈরি করেছিল তারাই বেশি। কিন্তু ধারার বিপরীতে ৯ মিনিটেই এগিয়ে যায় মালদ্বীপ। ঘানির বাঁ পায়ের বাঁকানো ফ্রি কিক ঠিকানা খুঁজে পায়।

গোল খেয়ে তা শোধ করতে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে নেপাল। কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারেনি স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায়। অবশ্য বেশ কিছু দারুণ সেভ করেছেন মালদ্বীপ গোলরক্ষক মোহাম্মদ ফয়সাল। ২৭ মিনিটের সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হলে খেলা বন্ধ রাখেন রেফারি।

আধা ঘণ্টা পর ফের খেলা শুরু হলে বল নিয়ন্ত্রণে রেখেই খেলতে থাকে নেপাল। মাঝে মধ্যেই দারুণ কিছু পাল্টা আক্রমণ করে মালদ্বীপ। কিন্তু বল জালের ঠিকানা খুঁজে না পেলে ১-০ গোলের লিড নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।

বিরতির পরও বেশ কিছু দারুণ আক্রমণ করে নেপাল। কিন্তু লাভ হয়নি। উল্টো ম্যাচের শেষ ২০ মিনিটে মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তারা। এ সময়ে মুহুর্মুহু আক্রমণে নেপালিদের ব্যস্ত রাখে মালদ্বীপের খেলোয়াড়েরা। দুই মিনিটের ব্যবধানে আরও দুই গোল আদায় করে নেয় দলটি।

৮৪ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মালদ্বীপ। আসাদুল্লাহ আব্দুল্লাহর শট নেপালি ডিফেন্ডার ফেরালে বল পেয়ে যান সামনে থাকা ইব্রাহিম। তার শট আর ফেরাতে পারেননি কেউই। দুই মিনিট পর আবারো গোল করেন ইব্রাহিম। আসাদুল্লাহর পাস থেকে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

তিন গোল দিয়েও থামেনি মালদ্বীপের আক্রমণ। দারুণ কিছু সেভ করেন নেপালি গোলরক্ষক কিরণ কুমার লিপু। শেষ দিকে ব্যবধান কমানোর সুযোগ ছিল নেপালের। কিন্তু গোলরক্ষক ফয়সাল তা হতে দেননি। ফলে বড় জয় নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সাফ ফুটবলের ফাইনালে জায়গা করে নেয় মালদ্বীপ।

Comments