পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত

ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের একটি দৃশ্য। ছবি : ফিরোজ আহমেদ।

ফুটবলে যে কতোটা এগিয়েছে তারা তার আরও একটা প্রমাণ রাখলো ভারত। সাফ সুজুকি কাপে তারা জাতীয় দলকে পাঠায়নি। কিন্তু অনূর্ধ্ব-২৩ দলের খেলোয়াড়রাই বাজীমাত করে চলেছে ধারাবাহিক ভাবে। টানা তৃতীয় ম্যাচেও তারা জয় পেল দুই গোলের ব্যবধানে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মানভির সিংয়ের জোড়া গোলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে স্টিফেন কনস্টেনটাইনের শিষ্যরা।

সাফ গেমসে বরাবরের ফেভারিট ভারত। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। আগের ১১ আসরের মধ্যে সাতবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার শুরু থেকে তারা খেলেছে চ্যাম্পিয়নের মতোই। তবে প্রথমার্ধে প্রায় সমান তালেই লড়াই করেছে পাকিস্তান। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি কোন দলই। ফলে গোলশূন্য ভাবেই বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির পর দারুণ গোছানো ফুটবল খেলতে শুরু করে ভারত। ফলে এ অর্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় তারা। ৪৮ মিনিটে আশিক কুরুনিয়ানের ক্রস থেকে দারুণভাবে আলতো টোকায় বল জালে জড়ান মানভির। এগিয়ে গিয়ে আরও তেতে ওঠে দলটি। ৬৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। বিনীত রায়ের কাছ থেকে বল পেয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন মানভির।

ম্যাচের ৮২ মিনিটে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন মানভির। তার বদলী হিসেবে মাঠে নামার দুই মিনিটের মধ্যেই গোল পান সুমিত পাসি। আশিকুরের ক্রস থেকে ফাঁকায় দারুণ এক হেডে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন এ স্ট্রাইকার।

শেষ দিকে একটি উত্তেজনায় ছড়িয়ে পড়ে দুই দলের মাঝে। এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয় দুই দল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ভারতের লালিয়ানজুয়ালা চাঙতে ও পাকিস্তানের মহসিন আলিকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ৮৮ মিনিটে দূরপাল্লার শটে দুর্দান্ত এক গোল করেন পাকিস্তানের হাসান বশির। তবে সে গোল কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে।

এ নিয়ে ১১ বার সাফের ফাইনালে উঠল ভারত। ২০০৩ সালে সেবার বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয় ওই বারই কেবল ফাইনালে উঠতে পারেনি দলটি। অপর দিকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলা হলো না পাকিস্তানের।

Comments

The Daily Star  | English

What are the five charges against Hasina at ICT?

Former home minister Kamal and ex-IGP Mamun have also been accused

7m ago