যা পক্ষে না থাকার ঘাটতিতে বাংলাদেশ
দুবাই আর আবুধাবি পাকিস্তানের হোম ভেন্যু। এখানে প্রায়শই খেলার সুযোগ পায় আফগানিস্তানও। পাকিস্তানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ খেলতে একাধিকবার শ্রীলঙ্কা খেলে গেছে এই কন্ডিশনে। হংকংকে এশিয়া কাপে গোনায় ধরা লোক টর্চ জ্বালিয়ে খুঁজেও পাওয়া দুষ্কর। বাকি রইল বাংলাদেশ। একমাত্র বাংলাদেশর এই দলেরই নেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলার অভিজ্ঞতা।
দুবাইতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দিন আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে তাপমাত্রা থাকবে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এত গরমে খেলে অভ্যস্ত নয় বাংলাদেশ। অচেনা মাঠ, অজানা উইকেট। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ এসবও।
প্রথম ম্যাচে নামার আগে তাই টস হয়ে উঠতে পারে ফ্যাক্টর। এখানকার গরমের প্রভাবে নিজেদের বেকায়দায় থাকাটা লুকালেন না মাশরাফিও, ‘টসে হারজিত তো বলা যায় না। তাহলে গরম তো অবশ্যই অনেক কিছু ম্যাটার করবে। পাকিস্তান-আফগানিস্তানের জন্য কিছুটা সহজ হবে কারণ তারা সব সময় এখানেই খেলে থাকে। শ্রীলঙ্কাও কদিন আগে টেস্ট সিরিজ এখানে খেলে গিয়েছে। তারাও কিছু আন্দাজ করতে পারে। কিন্তু সব কিছু যদি দেখেন- আবহাওয়া বলেন, উইকেট বলেন আমরা কেউ এখানে খেলে অভ্যস্ত না।’
‘হয়ত দুএকজন পিএসএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলেছে। দল হিসেবে আমরা খেলিনি। এসব কিছু আমাদের পক্ষে নাই।’
নিজেদের বিপক্ষে এতগুলো তথ্য তোলে ধরলেও কাবু হতে চান না মাশরাফি। হাজার প্রতিকূলতা জয় করার পণ নিয়ে নেমে জিততে চান নয়া চ্যালেঞ্জ, ‘এর মানে এই না যে মাঠে আমরা ওইগুলার জন্য অপেক্ষা করব। খারাপের দিকে তাকিয়ে থাকব। কাজেই আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে। আর এসব মোকাবেলা করেই কিন্তু ভাল দল হয়ে উঠার সুযোগ থাকে। এইগুলা না ভেবে যদি মাঠে নামি কাল খুব ভাল ম্যাচ হতে পারে আরকি।’
ম্যাচের আগের দিন আয়োজন করে উইকেট দেখার সুযোগ পাননি মাশরাফিরা। অফিসিয়াল প্রেস কনফারেন্সের পর ফটোসেশনে ঢুকতে গিয়ে এক ঝলক দেখে এসেছেন দেখার সঙ্গে নিয়ে রেখেছেন খোজখবরও, তাতে নাকি বেশ ভালো উইকেট পাওয়ার আশা জেগেছে অধিনায়কের মনে, ‘হ্যাঁ কেবল আমিই দেখেছি। আর কারো সুযোগ হয়নি। তাও ফটোসেশন ছিল ওই কারণে। উইকেটটা খুব ভাল মনে হচ্ছে। যতটুকু তথ্য নিলাম বলল সেরা একটি উইকেটে খেলা হবে। আফগানিস্তান সাজেস্ট করছে। কারণ ওরা এই উইকেটে বেশি ম্যাচ খেলে। পাকিস্তান সাধারণত এই উইকেটতে খেলে না। সব তথ্য পেতে পারি। কিন্তু দিনশেষে আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। ’
Comments