তামিমের সাহস দেখে বিস্মিত ম্যাথুসরাও

তামিম ইকবালের সামনে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের হাড়ু গেড়ে বসে পড়ার একটা ছবি ভাইরাল হয়েছে। অনেকে এটা শেয়ার করে বলছেন, শ্রদ্ধায় নত লঙ্কান অধিনায়ক। আসলে তখন তামিমের জুতোর ফিতা বেঁধে দিচ্ছিলেন ম্যাথুস। তবে তামিমের প্রতি ম্যাথুসের শ্রদ্ধার কথা ভুল নয়। ম্যাচ শেষে বিস্মিত কন্ঠে জানিয়েছেন তা।
Tamim Iqbal
ছবি: এএফপি

তামিম ইকবালের সামনে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের হাড়ু গেড়ে বসে পড়ার একটা ছবি ভাইরাল হয়েছে। অনেকে এটা শেয়ার করে বলছেন, শ্রদ্ধায় নত লঙ্কান অধিনায়ক। আসলে তখন তামিমের জুতোর ফিতা বেঁধে দিচ্ছিলেন ম্যাথুস। তবে তামিমের প্রতি ম্যাথুসের শ্রদ্ধার কথা ভুল নয়। ম্যাচ শেষে বিস্মিত কন্ঠে জানিয়েছেন তা। 

বাংলাদেশের নবম উইকেট পড়ে যাওয়ার পর লঙ্কানরা ইনিংস মুড়ে দেওয়ারই উল্লাস করছিল। হঠাৎ খেয়াল হয় নেমে আসছেন তামিম। চোখ কচলেই তাদের দেখতে হচ্ছিল সে দৃশ্য।

ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে বাম হাতের কব্জিতে যেভাবে আঘাত পেয়েছিলেন তামিম, তা খুব কাছ থেকেই দেখেছেন ম্যাথুস। ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতায় চোটের ধরণ নিয়ে তখনই হয়ত হিসেব নিকেশ করে রেখেছিলেন। কেবল ধারনা থেকেই নয়, পরীক্ষা নিরীক্ষায় একাধিক ফ্র্যাকচার ধরা পড়ার পর তামিম ফের নামবেন এটা ছিল প্রায় অবাস্তব।

ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানের এই সাহসকে মাথা নুইয়ে স্যালুট দিতে কুণ্ঠাবোধ করছেন না ম্যাথুস, ‘হ্যাঁ, সে অসম্ভব সাহসিকতার পরিচয় দেখিয়েছে। এক হাতে ব্যাট করেছে। ওই অবস্থায় নেমে পড়া কখনই সহজ কথা নয়। এটা বিশাল কিছু।’

মোস্তাফিজ আউট হওয়ার পর দারুণ সেঞ্চুরি করা মুশফিক নেতিয়ে পড়েছিলেন। তামিম নামায় দ্বিগুণ চাঙা হওয়া মুশফিক চার-ছয়ের ঝড়ে তুলেছেন ৩২ রান। ম্যাথুস মনে করেন মোড় ঘুরেছে তখনই,  ‘পুরোটা সময় মুশফিক দারুণ ব্যাট করেছে। শেষ দিকে তারা ২০-৩০  রান (আসলে ৩২) যোগ করে ফেলে। ওইটা একটা ইস্যু (মোড় ঘোরানোর) ছিল। তবুও আমি মনে করি এই উইকেটে এই স্কোর তাড়া করে জেতা সম্ভব ছিল। আমি ব্যাটসম্যানদের দায় দিব।

শনিবার বাংলাদেশের করা ২৬১ রানের জবাবে ১২৪ রানে থেমে যায় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে এত কম রানে আগে কখনো অলআউট হয়নি লঙ্কানরা। ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে এশিয়া কাপ শুরু করে বাংলাদেশ।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago