মনে এতো ক্ষোভ পুষে রেখেছিলেন মুশফিক?

তামিম ইকবাল যখন এক হাতে ব্যাটিংয়ে নামলেন দেশের ক্রিকেট ভক্তরা তখন তার প্রশংসায় উন্মুখ। ইনজুরি ছিল মুশফিকুর রহীমেরও। পাঁজরে ব্যথা নিয়ে খেলেছেন মহা কাব্যিক এক ইনিংস। ভালো খেলতে পারাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তারা। কিন্তু যদি না পারতেন?
মুশফিক রহীম

তামিম ইকবাল যখন এক হাতে ব্যাটিংয়ে নামলেন দেশের ক্রিকেট ভক্তরা তখন তার প্রশংসায় উন্মুখ। ইনজুরি ছিল মুশফিকুর রহীমেরও। পাঁজরে ব্যথা নিয়ে খেলেছেন মহা কাব্যিক এক ইনিংস। ভালো খেলতে পারাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তারা। কিন্তু যদি না পারতেন?

মুশফিক যেন মনে করিয়ে দিলেন সেই কথাই, ‘আমার পাঁজরে ব্যথা এখনো আছে। তামিম যেভাবে ব্যাটিংয়ে এসে এটা অবিশ্বাস্য। কিন্তু ওর হাড়ই ভেঙ্গে গেছে। এক হাতে ব্যাট ধরেছে। ডেডিকেশন সব সময়ই আমাদের দলের প্রতি থাকে। এখন হয়তো ইনজুরি নিয়ে আমাদের দুইজনের জন্য ম্যাচটা জেতা হয়েছে। এই কারণে বিষয়টা ফোকাস।’

কথাটা বোধ হয় শতভাগ ঠিক। জয়ের কারণেই এতো ফোকাসে তারা। ভালো খেললে তো ভালোই। কিন্তু একটু উনিশ বিশ হলে খেলোয়াড়দের পরিবার নিয়েও গালমন্দ শুনতে হয় অনেক। আর এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অভাগা সম্ভবত তামিমই। এরপর হয়তো আসবে মুশফিকের নাম। কখনো তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু তারপরও মাথা নিচু করে রাখতে বাধ্য হন খেলোয়াড়রা।

এমন ঘটনা একবার নয় বার বার হয়েছে। এমনকি দলের সেরা পারফর্মার সাকিব আল হাসানও বাদ পড়েন না। এক মুহূর্তেই সমর্থকরা ভুলে যান এ সাকিবই হয়তো এক ম্যাচ দুই ম্যাচ আগে একক নৈপুণ্যেই দলকে জিতিয়েছেন। তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনজুরি নিয়ে কাব্যিক ইনিংস খেলার পর মনের কিছুটা ক্ষোভ উগলে দিলেন মুশফিক।

‘আমাদের ডেডিকেশন সব সময়ই থাকে। যে ম্যাচে আমরা হারি সেই ম্যাচেও আমাদের ডেডিকেশন সমান থাকে। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই আমরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। অনেক সময় পারি আবার অনেক সময় পারি না। এটাই আমাদের দায়িত্ব। ভবিষ্যতেও এভাবেই খেলার চেষ্টা করবো’- ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনটাই বললেন মুশফিক।

আগের দিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিক যখন উইকেটে আসেন তখন দলের রান মাত্র ১। এরপর ব্যাটিং করে গেছেন শেষ পর্যন্ত। পাঁজরের ব্যথা তো ছিলই, ছিল প্রচণ্ড গরমও। তবুও দমেননি তিনি। শেষ দিকে তামিমের নিবেদন তাকে যেন আরও তাতিয়ে দেয়। আর এটা কঠিন অনুশীলনের জন্যই সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

আর নিজের কঠোর অনুশীলনের কথা বর্ণনা করতে গিয়েও যেন একটু ক্ষোভ ঝারলেন মুশফিক, ‘আমরা যে কঠিন পরিশ্রমগুলো করি কিংবা ফিটনেস নিয়ে কাজ করি সেগুলো কখনো কেউ দেখে না। আমরা সকালে ৭-৮টার দিকে যে রানিং সেশনগুলো করি ওখানে আপনাদের কাউকেই দেখা যায় না। আপনারা আসেন দশটা এগারোটার দিকে। আমরা যে কষ্টগুলো করি, যে ডেডিকেশন ও কমিটমেন্ট নিয়ে কাজগুলো করি এরই একটা প্রতিফলন।’

Comments

The Daily Star  | English

Of Hilsa and its hunters

On the corner of a crowded and noisy floor, a bespectacled man was calling out bids for a basket of Hilsa fish. He repeated the prices quoted by traders in a loud, rhythmic tone: “1,400-1,420-1,450…”

13h ago