জীবনের সেরা ব্যাটিং করেছেন মুশফিক

মুশফিক রহীম

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান তিনি। এ সংস্করণে আরও অনেক লম্বা লম্বা ইনিংস খেলেছেন এ ব্যাটসম্যান। ম্যাচ জয়ী ইনিংসও আছে। খেলেছেন ওয়ানডেতেও। কিন্তু আগের দিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা ইনিংসটাকেই ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস বললেন মুশফিকুর রহীম নিজেই।

আর বলবেনই না কেন? মুশফিক যখন উইকেটে আসেন দুই উইকেট নেই। কার্যত নেই তিন উইকেট। কারণ একটু পরই ইনজুরিতে পরে মাঠ ছাড়েন তামিম। এরপর শেষ উইকেট হিসেবে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ১৪৪ রানের মহা কাব্যিক ইনিংস। আর তাতেই বাংলাদেশের মান তো রক্ষা হয়েছেই, পায় লড়াইয়ের পুঁজিও। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটাও জিতে নেয় বড় ব্যবধানে।

‘এই মুহূর্তে এটাকে ক্যারিয়ারে সেরা ইনিংস বলা যায়। অনেকেই বলছে। তবে ভবিষ্যতে এর চেয়ে ভালো ইনিংস হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত যদি বলেন এটাই আমার ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং।’ – শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করা নিজের ইনিংসকে সেরা ব্যাখ্যা করে এমনটাই বলেন মুশফিক।

তবে ম্যাচ জয়ের জন্য মোহাম্মদ মিঠুনের ইনিংসকেও সমান গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন মুশফিক, ‘মিঠুনের ইনিংসটা অসাধারণ ছিল। দুই উইকেট পরে যাওয়ার পর (তামিমও তখন বাইরে) মানে তিন উইকেট পরে যাওয়ার পর দুই রান মাত্র। আমার মনে হয় মিঠুন যেভাবে ইতিবাচক ভাবে ব্যাটিং করেছে তাতে করে আমার উপর চাপটা সে অনেকখানি কমিয়ে দিয়েছে। আমার কোন ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে হয়নি। ও দলের রান রেটকে সচল রেখেছিল। কৃতিত্ব মিঠুন পেতেই পারে।’

শেষ দিকে এক হাতে ব্যাট নিয়ে তামিম ইকবাল যখন আবার উইকেটে নামলেন ততক্ষণে সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন মুশফিক। কিন্তু খেলছিলেন সিঙ্গেল, মাঝে মধ্যে দুই একটি বাউন্ডারি নিয়ে। কিন্তু তামিমকে দেখেই যেন তেতে গেলেন। এরপর বাউন্ডারি মেরেছেন ছয় ছয়টি।

১২৩তম বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন মুশফিক। সেঞ্চুরির পর তামিম উইকেটে নামার আগ পর্যন্ত খেলেছেন ১২টি। কিন্তু তাতে মাত্র ১টি চার মেরেছিলেন তিনি। অতি আগ্রাসী না হয়ে দেখে শুনে সিঙ্গেলেই রান বাড়ানোয় মনোযোগ ছিল তার। কিন্তু তামিম নামার পরে ১৫ বল খেলে তিনটি করে চার ও ছক্কা মারেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

মুশফিকও বললেন একই কথা, ‘তামিম যখন নামে আমার মনে হয় মোমেন্টামটা আমাদের দিকেই ছিল। ও যে অবস্থায় নেমেছে ওর জন্য হলেও কিছু করা উচিত। চেষ্টা করেছি, আল্লাহর রহমতে সফল হয়েছি।’

Comments

The Daily Star  | English

A transitional budget for troubled times

Govt signals people-centric priorities but faces tough trade-offs

3h ago