শাকিব খানের ওপর কীসের এতো রাগ?

shakib khan
অভিনেতা শাকিব খান। ছবি: শাকিব খানের ফেসবুক থেকে নেওয়া

সব রাগ কি শাকিব খানের উপর? আর তার অভিনীত ছবিগুলোর প্রতি? তার অভিনীত যৌথ প্রযোজিত প্রতিটি ছবি মুক্তির সময় ঝামেলায় পড়েছে। সাফটা চুক্তির আওতায় কলকাতার অন্য ছবিগুলো মুক্তি পেলেও শাকিব খানের ছবিগুলো মুক্তিতেই দেখা দেয় সমস্যা।

এখন কোন উৎসব নেই। নতুন বাংলাদেশি ছবি মুক্তির কোনো খবরও নেই। তাহলে শাকিব খান অভিনীত কলকাতার ‘নাকাব’ মুক্তিতে সমস্যা কেন? ঠিক জানা নেই। নায়ক তো বাংলাদেশের শাকিব খান। এই বিচারেইতো ছবিটি মুক্তি পেতে পারে।

২১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এসভিএফ প্রযোজিত ‘নাকাব’। একই সঙ্গে দুই দেশে ছবিটি মুক্তি পেলে কি ভালো হতো না? ব্যবসায়িকভাবেও লাভবান হতো দুই দেশই।

যেখানে বর্তমানে একমাত্র শাকিব খান অভিনীত ছবি হলগুলোতে ব্যবসা করে, প্রযোজকররা তাদের লগ্নি ফেরত পাওয়ার আশা করেন, সেখানে তার অভিনীত ছবি মুক্তিতে বাধা আসাটি সত্যিই দুঃখজনক। সারা বাংলাদেশে হলের সংখ্যা কমে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমন চলতে থাকলে আগামীতে আরও কমে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। সেখানে শাকিব খানের ছবি মুক্তিতে বাধা দেওয়া কতোটা যুক্তিযুক্ত?

শাকিব খানের উপর কিছু মানুষের রাগ অহেতুক বলেই মনে করেন চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ। এই রাগ সম্ভবত ঈর্ষা থেকে উদয় হয়েছে তাদের মনের মধ্যে। টেনে ধরো তাকে। তাকে নামাও- যতো নামাতে পারো। তাকে বিপদে ফেলতে পারলেই যেন স্বস্তি। অথচ বাংলাদেশের নামটা দেশের বাইরে কিছুটা উজ্জ্বল করেছেন তিনি। এই তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের আরেক প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী জয়া আহসান। যিনি কলকাতার অনেক অভিনেত্রীর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন নিজস্ব প্রতিভায়। আসতে পারে আরিফিন শুভ এবং নুসরাত ফারিয়ার নামও। যোগ হতে পারেন জ্যোতিকা জ্যোতিও। এরা সবাই কলকাতার ছবিতে অভিনয় করছেন। কারো ছবি মুক্তি পেয়েছে, কারো বা মুক্তির অপেক্ষায়।

দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে শাকিব খান বলেন, “আমাদের দেশের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমানরা যখন আইপিএল খেলতে ভারতে যান তখন কোন কথা হয় না। যখন আমি ভারতের ছবিতে অভিনয় করি তখন অনেক কথা হয় আমাকে নিয়ে। কারণটা ঠিক জানি না। পদে পদে আমাকে ঠেকানোর চেষ্টা করা হয় কেন?”

শাকিব খানের এই ‘কেন’-র উত্তর কী আছে কারো কাছে? যৌথ প্রযোজিত ছবির নিয়মকানুনের জালে একের পর এক ছবির শুটিং আটকে যাচ্ছে। মুক্তিতে বাধা যৌথ প্রযোজিত ছবিগুলোর। সাফটা চুক্তির ছবি মুক্তি নিয়ে সমস্য। বহু দলে বিভক্ত সিনেমার মানুষেরা। যারা ছবি প্রযোজনা করছেন তাদের থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্নভাবে। এর ফলে প্রযোজকরা লগ্নি করতে ভয় পাচ্ছেন। সিনেমায় আসছেন না প্রযোজকরা। তাহলে নতুন সিনেমা নির্মাণ হবে কিভাবে? ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ আয়োজন করে লাভ কী এফডিসির। যদি নতুন প্রযোজক না আসেন সিনেমা নির্মাণে তাহলে দেখা যাবে নায়ক, নায়িকা. পরিচালক, ক্যামেরাম্যান, গল্প, চিত্রনাট্য সবই আছে কিন্তু প্রযোজক নেই। বিষয়টি কী দাঁড়াবে এটাই ভাবনার বিষয়।

শুরু করেছিলাম শাকিব খানের বিষয় দিয়ে। শেষও করি তাকে দিয়েই। যদি বাংলাদেশে ‘নাকাব’ মুক্তি পায় তাহলে আমাদের সিনেমা হলগুলোর জন্য মঙ্গল হবে। কারণ উৎসব ছাড়া একমাত্র তার ছবিই উৎসব ছড়িয়ে দিতে পারে সবখানে।

Comments

The Daily Star  | English

The rickshaw debate

For some, the battery-run vehicles are a time-efficient and cost-effective blessing; for others, they are a dangerous disruption to the already precarious traffic system.

12h ago