ভারত ম্যাচের আগে চিন্তার তিন কারণ, আছে আশাও

ম্যাচ শেষ হতে হতে স্থানীয় সময় রাত ১১টা। আবুধাবি থেকে রাতে হোটেলে ফিরে বিশ্রাম, পরদিনই আবার বড় ম্যাচ। সংবাদ সম্মেলন ছোট করতে তাই সংবাদকর্মীদের তাড়া দিচ্ছিলেন এসিসি মিডিয়া ম্যানেজার। ওই তাড়াহুড়োতেও বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো মাশরাফি মর্তুজাকে। গুরুত্বহীন ম্যাচ হলেও আফগানিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া চোখ লাগার মতই। তবে এই ক্ষত নিয়ে দল ভাবার সুযোগ বলতে গেলে পাচ্ছেই না।

এশিয়া কাপ খেলতে ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি আসেননি। তবে বাকি সব তারকাই আছেন। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে থাকা দল, শক্তিমত্তাতেও বিস্তর তফাৎ নিয়ে এগিয়ে।

এমন ম্যাচের আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৩৬ রানে হার সামনে আনছে কিছু অস্বস্তির জায়গা।

হতশ্রী ব্যাটিং

চোটের কারণে তামিম ইকবাল নেই, বিশ্রামে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। দলের তরুণ ক্রিকেটারদের সামনে ছিল নিজেদের মেলে ধরার বড় সুযোগ। কিন্তু তারা সবই হেলায় হারিয়েছেন। অভিষেক ম্যাচে নেমে দৃষ্টিকটুভাবে উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রত্যাবর্তনের সুযোগটা দ্বিতীয়বারও হাতছাড়া করেন লিটন দাস যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। একই অবস্থা মুমিনুল হকের। তিনি ফিরেছেন সবচেয়ে বাজে বলে। মাশরাফি অবশ্য এই ম্যাচের ক্ষত নিয়ে ভাবতে চাইলেন না একদম,  ‘যেটা হয়ে গেছে, সেটা নিয়ে সামনে এগোতে গেলে কাজটা কঠিন। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো কালকে  (আজ) থেকে শুরু হচ্ছে। আজকে মোমেন্টাম রাখতে পারলে ভালো হতো। এখন যেটা হয়ে গেছে, সেটা নিয়ে না ভেবে কালকের (আজকের) ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে। খুব কম সময় আছে। রিকভারি যতটুকু করা যায় সেটি করে, ইতিবাচকভাবে ভারতের বিপক্ষে নামতে হবে।’

ডেথ ওভার বোলিং

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪০ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের। শেষ ১০ ওভারে গিয়ে বোলাররা খেই হারিয়েছেন। অষ্টম উইকেটেই আফগানরা তুলেছে ৯৫ রান। যা পরে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে মত অধিনায়কেরও, ‘৪০ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে আমরা ঠিকমতোই ছিলাম। তারপর হয়তো ওরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।  আমার নিজের বোলিংসহ বোলিংয়ে আরও কিছু করতে পারতাম।আমি মনে করি বোলিংয়ের মোমেন্টাইমরা যেটা আমরা ধরে রাখতে পারেনি সেটাই প্রভাব পড়েছে ব্যাটিংয়ে। যেটা সাধারণত হয় ক্রিকেটে। শেষ দশ ওভারে যারা বোলিং করেছে তাদের আরও একটু দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল। ’

পর পর ম্যাচ, ভ্রমণ ক্লান্তি

আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা শেষে আবুধাবি থেকে দুবাইয়ে ফিরতেই হয়ে গেছে রাত দুটো। বিশ্রাম, খাওয়া সব কাজ সেরে ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই নামতে হবে ভারতের বিপক্ষে। সূচি জটের এমন জটিলতায় ক্রিকেটারদের শরীরের উপর দিয়ে ধকল যাচ্ছে অনেক। এই ধকল রিকোভার করার কথা বারবার শুনিয়েছেন অধিনায়ক। বাংলাদেশ দলের বড় কনসার্নের জায়গায়ও এটি।

আছে আশাও

পর পর ম্যাচ হওয়ায় যেখানে শারীরিক ধকল আছে সেখানেই আবার মিলছে কিছু আশাও। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হওয়া অন্য যেকোনো সময় বিশাল অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াত। এই হার নিয়ে চিন্তা করেই থাকত নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা। পর দিনই আরেক ম্যাচ হওয়ায় ওই হার নিয়ে খচখচানি থাকার সময়ই নেই। এটা দলের জন্য হতে পারে ইতিবাচকও। মাশরাফিও শোনালেন ইতিবাচক থাকার বানী, ‘আমাদের ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই খেলতে হবে। বিশ্বের এক নম্বর দল ওরা। আমাদের থেকে এগিয়েই আছে। তবে আমরা যদি আমাদের সেরাটা খেলতে পারি, তাহলে অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে আশা করি।’

ভারতের বিপক্ষে ফিরছেন মুশফিক, মোস্তাফিজ

আফগানদের বিপক্ষে মুশফিকুর রহিম আর মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্রাম পেয়েছিলেন। অনুমিতই ভাবেই ভারতের বিপক্ষে ফিরছেন তারা। তাদের জায়গা দিতে এক ম্যাচ খেলেই সাইড বেঞ্চে বসতে হবে মুমিনুল হক আর আবু হায়দার রনি, ‘মুশফিকের বিশ্রামটা খুব জরুরি ছিল। ও ফিরবে। আশা করি, আবারও ভালো খেলবে। মুস্তাফিজ ফিরবে। আর সঙ্গে জুনিয়ররাও একটু এগিয়ে আসলে আশা করি ভালো কিছুই হবে।’

 

Comments

The Daily Star  | English

'Frustrated, Yunus hints at quitting'

Frustrated over recent developments, Chief Adviser Prof Muhammad Yunus is considering stepping down, said sources familiar with what went down at the Chief Adviser’s Office and Jamuna yesterday.

2h ago