যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক আলোচনা বাতিল করল চীন
যেনো আরও শক্ত হলো সমস্যার জট। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ যখন চলমান রয়েছে এমনই পরিস্থিতিতে শনির প্রভাব পড়েছে দেশ দুটির সামরিক সম্পর্কের ওপরেও।
রুশ যুদ্ধবিমান ও ভূমি থেকে আকাশে ক্ষেপণযোগ্য মিসাইল কিনতে গিয়ে অবরোধের মুখে পড়েছে একটি চীনা সামরিক এজেন্সি। তাই বেইজিংয়ে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে চীন জানিয়ে দিলো দেশটির সঙ্গে তার সামরিক আলোচনা বাতিলের কথা। চীনা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝেং ঝেগুয়াং ডেকে আনেন রাষ্ট্রদূত টেরি ব্র্যানস্ট্যাডকে।
এছাড়াও, এক বার্তায় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে সফররত তাদের নৌবাহিনীর প্রধান শেন জিংলংকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
আগামী সপ্তাহে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তাদের বৈঠক বাতিল করার কথাও জানানো হয় সেই বার্তায়।
এমনকি, চীনা সামরিক বাহিনীর আরও ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রয়েছে- সেই হুমকিও দেওয়া হয় বার্তাটিতে।
চীনা সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র উ শিয়ান বলেন, রাশিয়া এবং চীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। দেশ দুটির মধ্যে সামরিক সহযোগিতা একটি সাধারণ ঘটনা। তাই রাশিয়া থেকে যুদ্ধবিমান ও মিসাইল সিস্টেম কেনার ঘটনাটিও স্বাভাবিক। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নাক গলানোর কোন অধিকার নেই’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাশিয়ার অস্ত্র বিক্রয় প্রতিষ্ঠান রোসোবোরোনএক্সপোর্ট-এর কাছ থেকে অস্ত্র কেনার ‘অপরাধে’ গত ২০ সেপ্টেম্বর চীনের সামরিক বাহিনীর অস্ত্র ক্রয় বিভাগ ইকুইপমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
কেননা, যুক্তরাষ্ট্রের গত জাতীয় নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, ইউক্রেনে আগ্রাসন এবং সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার কারণে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আর সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনায় ‘ড্রাগনের’ দেশটিও পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে।
Comments