‘ভালো লাগছে, আমাদের বোলাররাও এই কাজ করে দেখিয়েছে’
শেষ সময়ে গিয়ে ম্যাচ হাতছাড়া করা, শেষ ওভার কিংবা শেষ বলে গিয়ে ভরাডুবির ঘটনা বাংলাদেশের অহরহ। এমনকি ফাইনাল ম্যাচেও শেষ ওভারে হারের যন্ত্রণায় পুড়তে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। এবার বাংলাদেশের বোলাররা প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের দিতে পেরেছেন সেই অভিজ্ঞতা। আর এতেই সবচেয়ে খুশি ম্যাচ সেরা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
আফগানদের চেপে রেখে একটা সময় পর্যন্ত ম্যাচের লাগাম নিজেদের কাছে নিয়ে গিয়েছিল টাইগার বোলাররা। তবে হাসমতুল্লাহ শহিদি, আসগার আফগান আর মোহাম্মদ নবীর বলে ঘুরে দাঁড়িয়ে জেতার কাছে চলে গিয়েছিল আফগানিস্তানও।
শেষ ওভারে তাদের জেতার সমীকরণ ছিল বেশ সহজ। ৬ বল থেকে জিততে দরকার ছিল ৮ রান। হাতে ৪ উইকেট থাকায় ম্যাচ হেলেছিল আফগানদের দিকেই। তবে মোস্তাফিজুর রহমানের ম্যাজিকাল শেষ ওভারে সব ওলটপালট। বাংলাদেশের বোলিংয়ের সেরা অস্ত্র নিজের আসল খেল যেন জমিয়ে রেখেছিলেন শেষ ওভারের জন্য। তার ওই ওভার থেকে এসেছে মাত্র ৪ রান, যার দুই রানই লেগ বাই। অর্থাৎ মোস্তাফিজ রান দিয়েছেন মাত্র দুটি, ফেলেছেন মূল্যবান উইকেট। যার রেশে দল পায় ৩ রানের জয়।
ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত মাহমুদউল্লাহ অতীতে ব্যাটসম্যানদের না পারার ক্ষতে বোলারদের সাফল্যে প্রলেপ দিতে চাইলেন, ‘ম্যাচ জেতার অনুভূতি কখনো প্রকাশ করা যায় না। বাংলাদেশের পক্ষে যে কোন ফরম্যাটেই ম্যাচ জেতার অনুভূতি অসাধারণ। ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক। যেটা ভালো লাগছি, আমরা অনেক সময় ৬ বলে ৯ রান কিংবা ৮ রান করতে পারি না। আজকে আমাদের বোলাররা এই কাজটা করে দেখিয়েছে।’
মোস্তাফিজের এমন বোলিংয়ের ব্যাট হাতে ৭৪ রানের ঝলমলে ইনিংসে তৈরি করে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, বল করতে এসেও এনে দিয়েছেন ব্রেক থ্রো, নিয়েছেন দারুণ ক্যাচ। হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। তবে নিজের অবদানের চেয়েও মোস্তাফিজের ওই ওভার এগিয়ে রাখছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘আমি বলবো মোস্তাফিজের শেষ ওভারটা (টার্নিং পয়েন্ট)। যদিও আমাদের জুটিটা (মাহমুদউল্লাহ-ইমরুলের ১২৮ রানের জুটি) গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। তারপরও ৬ বলে ৮ রান ডিফেন্ড করাটা এতোটা সহজ নয়। যা করে দেখিয়েছে মোস্তাফিজ।’
Comments