শিলংয়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের মামলার রায় ২৮ সেপ্টেম্বর

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ। স্টার ফাইল ছবি

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের ভারতে অনুপ্রবেশের মামলায় রায় ২৮ সেপ্টেম্বর। মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক এই রায় দেবেন।

শিলং শহরে অবস্থানরত সালাউদ্দিন গতকাল রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে টেলিফোনে এই তথ্য জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সোমবার দুপুরে টেলিফোনে সালাউদ্দিন আহমেদের আইনজীবী এপি মহন্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তারিখ তো পড়েছে, দেখা যাক সেদিন কী হয়।’

ভারতের অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০১৫ সালে মার্চ মাসে এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মেঘালয় পুলিশ সিটি থানায় একটি মামলা করে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিচারক তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন। এই মুহূর্তে শিলং শহরেই বসবাস করছেন তিনি।

অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হবার প্রায় দুই মাস আগে থেকে বাংলাদেশে ‘নিখোঁজ’ ছিলেন সালাউদ্দিন।

২০১৫ সালের ১১ মার্চ শিলং শহরের গলফ মাঠ থেকে পুলিশ সালাউদ্দিনকে আটক করেছিল। অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে শিলং পুলিশ প্রথমে তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করায়। তবে চিকিৎসকরা জানান মানসিক নয়, বিএনপি নেতা শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে শিলং সিভিল সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তার পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

অসুস্থতার মধ্যেই ২০১৫ সালের ২৭ মে মামলার শুনানিতে শিলংয়ের জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির হন সালাউদ্দিন আহমেদ। এর পর প্রায় তিন বছর ধরে চলে বিচারপর্ব। একাধিক আইনজীবী জানান, অনুপ্রবেশের মামলায় এতো দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শিলং আদালতে এর আগে দেখা যায়নি।

বিচার কার্যক্রম নিয়ে সালাউদ্দিন আহমেদ নিজেও অনেকটা হতাশ। রোববার তিনি এক প্রশ্নের উত্তরের জানান, ২৮ তারিখে চূড়ান্ত রায় দেবে সেটা অফিসিয়ালি জেনেছি। তবে এর আগেও রায়ের তারিখ চার বার পিছিয়েছে। আশা করছি এবার তেমন হবে না।

Comments

The Daily Star  | English

SC clears way for holding Ducsu election on Sept 9

A seven-member bench of the Appellate Division headed by Chief Justice Syed Refaat Ahmed passed the order

35m ago