‘ভাই আমাকে বলছিল যে তোর বোলিং করা লাগবেই’

Mustafizur Rahman
ছবি: এএফপি

পাঁচ ওভার বল করার পর অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজাকে আর বোলিং করতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। আবুধাবির প্রচণ্ড গরমে পানিশূন্যতা, ক্রাম্প। শরীর যেন চলছিলই না তার। তবে ম্যাচ শেষ দিকে যেতে দরকার পড়ে বোলিংয়ের। কারণ একাদশে আছেন মাত্র দুজন পেসার। কাহিল মোস্তাফিজকে মাশরাফি পরে উজ্জীবিত করেছেন বল করতে। তার বোলিং মুন্সিয়ানাতেই রোমাঞ্চকর ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ।

করবেন না করবেন না করেও মোস্তাফিজ বল করেছেন আরও চার ওভার। তারমধ্যেও পেশিতে টান পড়ে মাঠেই শুশ্রূষা নিতে হয়েছে। উঠে দাঁড়িয়ে মোস্তাফিজ আসল কাজটি করেছেন শেষ ওভারে। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ৬ বল থেকে ৮ রান দরকার ছিল আফগানিস্তানের।

মোস্তাফিজ ওই ওভার থেকে দেন মাত্র ২ রান। লেগ বাই থেকে আসে আরও ২ রান। বাংলাদেশ ম্যাচ জেতে ৩ রানে।

ম্যাচ জেতায় ফাইনালে উঠার পথে সহজ সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ। সোমবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মুখচোরা মোস্তাফিজ শুনিয়েছেন ওই পরিস্থিতির কথা, ‘ভাই আমাকে একটা কথা বলছিল যে তোর বোলিং করা লাগবেই। মাঝখানে ৩ ওভার বোলিংয়ের সময় ভাইকে বলেছি যে পায়ে লাগছে। ভাই তখন বলেছেন যে তুই রেস্ট নে। শেষে করবি আবার। আমি বলছি যে ভাই ঠিক আছে, যেভাবে পারি করব।’

কোনমতে বোলিংটা করতে রানআপে দৌড়ের গতিও কমাতে হয়েছিল তাকে, ‘রান আপে বেশি জৌরে দৌড়ালে আমার পায়ে টান লাগছিল। আমি এজন্য এমন ভাবে দৌড়ালাম যেন পায়ে না লাগে। ওভাবেই বোলিং করছি।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুই মাঠেই খেলতে হচ্ছে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে। মোস্তাফিজের কাছে আবুধাবির গরমটা লেগেছে বেশি। ওই মাঠের চারপাশেই মরভূমি। উত্তাপ্ত তাই গায়ে লাগে বেশি। গরম দলের প্রায় সবারই হয়েছিল কাহিল অবস্থা, ‘দুবাই মাঠ থেকে ওখানে (আবুধাবিতে) গরম একটু বেশি। সবারই প্রায় কষ্ট হয়েছে গরমে। অনেক ঘেমেছে সবাই। ক্র্যাম্প করছিল। আমার না শুধু , অনেকেরই। সবার অনেক কষ্ট হয়ে গেছে। কষ্টের ফলে জেতাটা স্বস্তি দিয়েছে।’

 

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

Institutionalise democracy, stay united

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

1h ago