টপ অর্ডার নিয়ে উদ্বেগ, আসতে পারে পরিবর্তন
এশিয়া কাপে মোট চার ম্যাচ খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। কোন ম্যাচেই উদ্বোধনী জুটি এনে দিতে পারেনি ভালো শুরু। ১, ১৫, ১৫ এবং ১৬। এই ছিল চার ম্যাচের ওপেনিং জুটির রান। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালের আগে তাই মাথা ব্যথার কারণ হওয়া টপ অর্ডারে আসতে পারে পরিবর্তন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১ রানেই লিটন দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওয়ানডাউনে সাকিব আল হাসানও ফেরেন প্রথম বলেই। খানিক পর তামিম ইকবালের চোটে পড়ে ছিটকে যাওয়া অবশ্য দুর্ভাগ্যজনক। পরের তিন ম্যাচে সেই ‘দুর্ভাগ্য’ এনে দিয়েছে ভীষণ অস্বস্তি। তরুণ উদ্বোধনী জুটি হিসেবে খেলে তিন ম্যাচই ব্যর্থ হয় লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটি। টানা তিন ম্যাচ ওপেন করে তারা জুটিতে আনতে পেরেছেন মোট ৪৬ রান। গড়টা মাত্র ১৫.৩৩।
প্রতি ম্যাচেই শুরুতে বিপর্যয়ের জন্যে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে মিডল অর্ডারকে। আর মিডল অর্ডার ফেল করলে বেহাল অবস্থা হচ্ছে দলের। পাকিস্তানের বিপক্ষে মহারণের আগের দিন কোচ স্টিভ রোডস জানালেন, দলকে ভাবাচ্ছে টপ অর্ডার, ‘হ্যাঁ। টপ অর্ডার থেকে ভাল শুরু পাওয়া জরুরী। সব কোচই এটা চাইবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তামিম ছিটকে গেছে। এটা ছিল বড় ধাক্কা। আমরা শান্তকে নিয়েছিলেন তার জায়গায়। সে খুব প্রতিভাবান তরুণ ক্রিকেটার। আজ বিকেলে আমি, মাশরাফি এবং পুরো টিম ম্যানেজমেন্ট বসব। সব দিক খতিয়ে সেরা দল নামানোর বিষয়ে আলাপ হবে। অবশ্যই এটা একটা উদ্বেগের বিষয়।’
তামিমের বিকল্প হয়ে ওপেনিংয়ে তিন ম্যাচ খেলে ৭,৭ ও ৬ রান করেন শান্ত। আরেক ওপেনার লিটন প্রথম তিন ম্যাচে ব্যর্থ হলেও সর্বশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছেন ৪১ রান। আত্মঘাতি শটে আউট হওয়ার আগে খেলছেন পুরো আত্মবিশ্বাস নিয়ে। ওপেনিংয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে লিটনের থেকে যাওয়া তাই নিশ্চিতই।
দল সূত্রে জানা গেছে, শান্তর সামর্থ্যের উপর দলের আস্থা থাকলেও তিন ম্যাচে তার আউট হওয়ার ধরণ ভাবাচ্ছে দলকে। কিছুটা আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগা এই তরুণকে পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না দল।
শান্ত না থাকলে ওপেনিংয়ে বিকল্প হিসেবে সুযোগ পেতে পারেন দেশ থেকে উড়ে আসা সৌম্য সরকার। ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের তার একমাত্র সেঞ্চুরিটিও পাকিস্তানের বিপক্ষেই। টিম ম্যানেজমেন্টের বিবেচনায় আছে সেসব।
একাদশ নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু না বললেও সৌম্যকে বিবেচনায় রাখার কথা জানান কোচ, 'সবাই দেখেছেন আজ ও পুরোদমে অনুশীলন করেছে অন্যদের সঙ্গে। সবার মতো সেও বিবেচনায় আছে। আমরা এখনো একাদশ ঠিক করিনি। আগে যেটা বললাম অধিনায়কের সঙ্গে বসে একাদশ ঠিক করব। অন্য সবার মতো সেও খেলতে মুখিয়ে আছে। '
আবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে রশিদ খানের কথা ভেবে ইমরুল কায়েসকে ছয়ে নামানো হলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি ফিরতে পারেন ওপেনিংয়ে। সেক্ষেত্রে সৌম্য দলে আসলে খেলবেন নিচের দিকে। তৃতীয় পেসার হিসেবে তার মিডিয়াম পেস বোলিংটাও রাখা হয়েছে বিবেচনায়।
যে করেই হোক টপ অর্ডারের বেহাল দশা কাটাতে চাইছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচে মিডল অর্ডারের বড় দুই জুটি তাও সামাল দিয়েছিল পরিস্থিতি। বাকি দুই ম্যাচে টপ অর্ডারের পথে হেঁটেছে মিডল অর্ডারও। ফলে বেহাল দশা হয়েছিল দলের, এবার এসব সমস্যা কাটাতে চান কোচ, ‘প্রথম ম্যাচে দ্রুত উইকেট পড়ার পর মুশফিক-মিঠুনের দারুণ জুটিতে আমরা ফিরেছি, গত ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিপর্যয় দারুণ সামাল দিয়েছে ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ। এখন টপ অর্ডার থেকে যদি ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায় দলের জন্য এটা হবে বিরাট কিছু।’
Read More: ফিফার বর্ষসেরা তারকা মদ্রিচ
Comments