চট্টগ্রামে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণ

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে। অভ্যন্তরীণ রুটের এই উড়োজাহাজটিতে সাত জন ক্রুসহ মোট ১৭১ জন আরোহী ছিলেন।
ফাইল ছবি

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে। অভ্যন্তরীণ রুটের এই উড়োজাহাজটিতে সাত জন ক্রুসহ মোট ১৭১ জন আরোহী ছিলেন।

দ্য ডেইলি স্টারের হাতে আসা ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অবতরণের সময় উড়োজাহাজটির সামনের অংশ রানওয়েতে ঘষা লাগে। এই অবস্থাতেই বেশ কিছুদূর সামনে এগিয়ে যায় এটি। থেমে থাকা উড়োজাহাজটির ছবিতে সামনের ল্যান্ডিং গিয়ার (চাকা) দেখা যাচ্ছিল না। যাত্রীদের দ্রুত নেমে যাওয়ার জন্য ইভাকুয়েশন স্লাইড ও জরুরি দরজাও খোলা হয়। আর অগ্নিকাণ্ড এড়াতে উড়োজাহাজটিতে পানি ছিটায় ফায়ার সার্ভিস।

বিমানবন্দরটির ব্যবস্থাপক সারোয়ার-ই-জাহান জানান, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থেকে যাত্রী নিয়ে ইউএস বাংলার ফ্লাইট বিএস ১৪১ কক্সবাজারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। দুপুর পৌনে ২টার দিকে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণ করে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে কারও হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং সাপোর্ট এন্ড পিআর) ইউএনবিকে বলেন, সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে উড়োজাহাজটি উড়ান শুরু করেছিল। যান্ত্রিক গোলযোগ ধরা পড়ায় শাহ আমানত বিমানবন্দরে এটি অবতরণ করে। কক্সবাজার বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সুযোগ সুবিধা না থাকায় চট্টগ্রামে এটিকে নামতে হয়েছে বলে যোগ করেন তিনি।

এর আগে গত ১২ মার্চ ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ ৭১ জন আরোহী নিয়ে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় মোট ৫১ জন প্রাণ হারান। এদের মধ্যে ২২ জন নেপালি ও একজন চীনের নাগরিক। অন্যরা সবাই বাংলাদেশি।

চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণের পর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ। ছবি: রাজীব রায়হান
চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণের পর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজের পেছনের জরুরি নির্গমন দরজা খুলে দেওয়া হয়। ছবি: রাজীব রায়হান

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago