‘যুদ্ধে নামলে পেছনে তাকিয়ে থাকার সুযোগ নেই’
তামিম ইকবাল না থাকাতেই দল পেরেসানিতে। কোনমতে জোড়াতালি দিয়ে দাঁড় করানো হচ্ছে টপ অর্ডার। ম্যাচের আগের দিন ছিটকে গেলেন সাকিব আল হাসানও। এসব পরিস্থিতিতে চুপসে যাওয়ার শঙ্কাই থাকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে নামার আগে অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজার দলের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তৃতাতেই নাকি উবে যায় সব শঙ্কার মেঘ।
জেতার পর ম্যাচ সেরা মুশফিকুর রহিম জানিয়েছেন, খেলার আগে দলের অন্দরমহলের খবর। সাকিবের ছিটকে পড়ার খবর নিশ্চিত হওয়ার পরই সবাইকে ডেকে একতাবদ্ধ করেছিলেন অধিনায়ক। কি ছিল মাশরাফির সেসব কথা, জানিয়েছেন মুশফিক, ‘মাশরাফি ভাই একটি কথাই বলেছিলেন যে যুদ্ধে নামলে পেছনে তাকিয়ে থাকার সুযোগ নেই। যুদ্ধে নামলে গা বাঁচিয়ে চললে চলবে না। হয় মারবেন, নয় মরবেন।’
‘মাশরাফি ভাই যে কথাটি বলেছে, এটা দারুণ অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। কারণ লড়াইয়ে নামলে আসলে দেখার সুযোগ নাই দলে কে আছে না আছে। আমাকে আমার শত ভাগ দিতে হবে। আমরা ফল নিয়ে চিন্তা না করে চেষ্টা করেছি শতভাগ দিতে। জানতাম সেটি দিতে পারলে আমরাই জিতব।’
পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের উপর অনেকখানি নির্ভর করে বাংলাদেশের সাফল্য কিংবা দুর্দশা। এদের মধ্যে কেউ না থাকলেও যেন কিছু যায় না আসে, মুশফিক জানিয়েছেন তার ব্যবস্থা করতে মাশরাফি সবাইকে দিয়েছিলেন সাহস, ‘হয়ত একদিন আমিও থাকব না। কারও জন্য কিছু থাকে না। আমরা পাঁচজনও থাকব না। তার পরও ক্রিকেট চলতে থাকবে। সবাই সেদিক থেকে অনুপ্রাণিত ছিল সত্যিই, যে কিছু দেখাতে হবে।’
অধিনায়কের কথায় তেতে উঠে তরুণরাও চিনিয়েছেন নিজেদের জাত, ‘মেহেদি, মুস্তাফিজ, মিঠুন, জুনিয়ররাই আজকের ম্যাচের সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।’
Comments