মাশরাফি এশিয়া কাপ জিতে গেছেন সেদিনই!
প্রথম ম্যাচের পর তামিম ইকবাল নেই, ফাইনালের উঠার লড়াইয়ের আগে সাকিব আল হাসানও ছিটকে গেলেন। তবু ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ। পাঁজরের ব্যথা নিয়ে খেলে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা নিজেও ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে পেয়েছেন আঘাত। এতসবের মধ্যে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে কতটা আশা আছে বাংলাদেশের?
বুধবার পাকিস্তানকে হারিয়ে আবুধাবি থেকে দুবাইতে হোটেলে ফিরতে ফিরতে রাত আড়াইটা বেজেছে দলের। একদিন মাঝে রেখেই শুক্রবার ফাইনাল। বৃহস্পতিবার তাই অনুশীলন করার কথা ভাবেইনি বাংলাদেশ। টিম হোটেলে শুয়ে বসেই ক্রিকেটাররা কাটিয়েছেন দিন।
তবে অনুশীলন না থাকলেও ফাইনালে উঠার উত্তাপ এড়ানোর তো উপায় নেই। ঠাসা সূচি, চোট, সেরা ক্রিকেটারদের ছাড়া ফাইনাল। বাংলাদেশ অধিনায়কের কাছে জানার ছিল অনেক। আগেও কঠিন পরিস্থিতি পার করে ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। তবে এবারের পরিস্থিতি মাশরাফির কাছে সবচেয়ে কঠিন, ‘প্রত্যেক ম্যাচেরই আলাদা গুরুত্ব থাকে। ত্রিদেশীয় সিরিজে যে ফাইনাল খেলেছি, বা ২০১২ সালে যেটা খেলেছি, বা টি-টোয়েন্টিতে যেটা...সবগুলো কিন্তু একেক রকম অবস্থা পার করে এসে খেলেছি। এটা বলব যে এবার আরও কঠিন অবস্থা ছিল।’
তামিম ছিটকে যাওয়ার পরই টপ অর্ডার নড়বড়ে। জোড়াতালি দিয়েই যেন চলছে বাংলাদেশ। প্রায় প্রতি ম্যাচেই দলকে টানছেন মুশফিক। সেই মুশফিকও খেলছেন প্রতিকূলতা নিয়ে। অধিনায়কের প্রেরণায় আছে এসব নিবেদন।
হাতে একাধিক ফ্র্যাকচার নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক হাতে ব্যাট করতে নেমেছিলেন তামিম। তার ওই বীরত্বের দিনই নাকি এশিয়া কাপ জেতা হয়ে গেছে বাংলাদেশ অধিনায়কের, ‘যেহেতু একের পর এক খেলোয়াড় হারাচ্ছিলাম। সংশয় ছিল মুশফিক খেলবে কি না। কিন্তু ওভাবেই ও খেলেছে, ভালোও করেছে। ওদের দেখেও অনেক কিছু শেখার আছে। সত্যি বলতে, আমার কাছে তামিম যখন ভাঙা আঙুল নিয়ে মাঠে নেমেছে,তখনই আমি এশিয়া কাপ জিতে গেছি। ওটা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
এর মানে এই নয় যে ফাইনালে আর বাংলাদেশ কোন চেষ্টা করবে না। প্রচণ্ড শারীরিক ধকল সয়েছেন, এবার মানসিক শক্তি দিয়ে মাঠের ভেতর থেকে চূড়ান্ত সাফল্যের পথ ঠিক করতে চান মাশরাফি, ‘আসলে পথ তো মাঠের ভেতর থেকেই বের হতে হয়। একটা ভালো স্পেল, একটা ভালো ইনিংস...। এছাড়া তো আর কোনো সহজ পথ নেই। এটার জন্য দরকার মানসিকভাবে শক্ত থাকা, শতভাগ ফিট থাকা। শারীরিকভাবে তো রিকভারির কথা এখন আর ভেবে লাভ নেই। ’
‘কারণ, কালকে খেলছি, একদিন পর আবার ফাইনাল খেলতে হবে। এখন খুব দরকার মানসিকভাবে শতভাগ ফিট থাকা। সেটা চেষ্টা করছি আমরা। আর সত্যি বললে, একটা-দুইটা ভালো ইনিংস দরকার। যেমন মুশফিক আর মিঠুনের যে জুটিটা...আশা করি এতো পরে না হয়ে সেটা আরও আগে হবে। এরকম কিছু হলে সম্ভব আর কী!’
Comments