ভাবিনি এত খারাপ অবস্থা, দোয়া চেয়ে বললেন সাকিব

ঠিক যতটা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে গুরুতর হয়েই দেখা গেল সাকিব আল হাসানের আঙুলের চোট। দেশে ফিরেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে এ অলরাউন্ডারকে। এমনকি ছোট একটি অস্ত্রোপচারও করাতে হয়েছে তাকে।

ঠিক যতটা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে গুরুতর হয়েই দেখা গেল সাকিব আল হাসানের আঙুলের চোট। দেশে ফিরেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে এ অলরাউন্ডারকে। এমনকি ছোট একটি অস্ত্রোপচারও করাতে হয়েছে তাকে।

অনেকটা ইচ্ছার বিরুদ্ধে এশিয়া কাপে খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আঙুলের ব্যথা প্রচণ্ড বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই দেশের বিমান ধরেন তিনি। আঙুলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এ অলরাউন্ডার।

আঙুলে ইনজেকশন নিয়েই খেলছিলেন সাকিব। শেষদিকে আর কুলিয়ে উঠতে পারেননি। দেশে ফেরার পর ব্যথা আরও বেড়ে যায়। আঙ্গুলের ভেতর ইনফেকশন নেওয়ার ফলে অস্ত্রোপচার করে ৬০-৭০ সে: মি: পুঁজ বের করতে হয়েছে তার। নিজেই তার ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়েছেন সাকিব।

নিজের ফেসবুক পেজে সাকিব লিখেছেন, ‘হাতের ব্যথায় যখন দল ছেড়ে দেশে ফিরছি তখনও বুঝতে পারিনি এত খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।

'দেশে আসার পর প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব ও হাত অস্বাভাবিক রকম ফুলে যাওয়ায় দ্রুত হসপিটালে এডমিট হয়ে একটি সার্জারি করাতে হয়েছে। আঙ্গুলের ভেতর ইনফেকশনের ফলে ৬০-৭০ সে: মি: পুঁজ বের করতে হয়েছে।

'আপনাদের দোয়াই খুব অল্পের জন্য বড় ধরণের বিপদ থেকে এই যাত্রায় রক্ষা পেয়েছি তবে দ্রুতই আরও একটি সার্জারি করাতে হবে।

'আপনাদের সকলের দোয়া প্রার্থনা করছি। আপনাদের দোয়া ও ভালবাসায় দ্রুত সুস্থ হয়ে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি। ধন্যবাদ...’

গত জানুয়ারিতে মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আঙুলের চোটে পড়েন সাকিব। সে চোট না কাটতেই মার্চে শ্রীলঙ্কায় খেলেছেন নিদাহাস ট্রফিতে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়ার পর সেই চোট  আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। দেশে ফিরে অস্ত্রোপচার করাতে চাইলেও দলের প্রয়োজনে এশিয়া কাপ খেলতে যান তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার, মাঝ পথেই ফিরতে হয় ব্যথা বেড়ে যাওয়ায়। তবে আবার দেশের হয়ে খেলার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন এ অলরাউন্ডার।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago