ফাইনাল হারের তিন কারণ

Bangladesh Team
শেষ বলে হারের পর হতাশ বাংলাদেশ দল। ছবি: এএফপি

আরও এক ফাইনালে বলে গিয়ে হৃদয় ভেঙে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। একটু এদিক সেদিক হলেই হয়ে যেত। যে আফসোস ছিল মিরপুরে, যে আফসোস কলম্বতে কাঁদিয়েছে, সেই আফসোস সঙ্গী দুবাইতেও। প্রত্যাশার পারদ উঠার পর ফাইনালের আগের দিন সবাইকে বাস্তবতার ছবি বোঝাচ্ছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা। তবে নিশ্চিতভাবে জেতার তীব্র স্বপ্ন ছিল তার মনেও। সংবাদ সম্মেলনে বিষাদগ্রস্ত চেহারা বলে দিচ্ছিল কতটা আঘাত লেগেছে বুকের গহিনে।

শেষটাই গিয়ে ফের গড়বড়। ম্যাচ হারার পর ক্লান্ত অধিনায়ক অতো অজুহাতের দিকে যাননি। ঘাটতির জায়গাগুলো নিজেই দেখিয়ে দিয়েছেন আগ বাড়িয়ে।

মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা

পুরো টুর্নামেন্ট বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যর্থ। দলকে টানছিল মিডল অর্ডার। ফাইনালে হলো ঠিক উলটো। দুই ওপেনারই এনে দিলেন ১২০ রান। সেটা একদম বিফলে গেল মিডল অর্ডারের জন্যে। অধিনায়ক বলছেন, ‘একটা পর্যায়ে ২১ ওভারে ১২০ রানের মতো হয়ে গিয়েছিল। ওই জায়গা থেকে সহজেই আমরা এমনকি তিনশো প্লাস করতে পারতাম। কিন্তু মিডল অর্ডারে ওইরকম ইন্টেন্ড দেখা যায়নি।’

‘মুশফিকের হয়ত শটের এক্সিকিউশন ঠিকমতো হয়নি। অন্যরা যারা...বিগ শটে খেলে আউট হয়েছে। ইতিবাচক মনোভাব দেখানো মানে এই না যে বড় শট খেলতে হবে। এছাড়া রানআউটগুলো যেগুলো হলো। এইগুলো প্রভাব ফেলেছে। আমরা চেয়েছিলাম ঝুঁকিহীন খেলে রান বাড়াতে, সেটা হয়নি।’

৫০ ওভার ব্যাট করতে না পারা

মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় অসাধারণ শুরু ধূলিসাৎ হওয়ার পর লেট অর্ডার থেকেও আসেনি নিবেদন। ৫০ ওভার শেষ হওয়ার ৯ বল আগেই অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ওই ৯ বল খেলতে পারলে নিশ্চিতভাবেই স্কোর হতো আরও বড়। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার ক্রিজে ছিলেন, অধিনায়ক মাশরাফিও তাকে দিতে পারেননি সঙ্গ। প্রায় সাত ওভার আগে উচ্চবিলাসি হয়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন নিজের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করা সৌম্য রান আউট না হলেও অন্যরকম হতে পারত চিত্র।

স্পিনারদের ব্যর্থতা

ব্যাট হাতে ওপেনিংয়ে অপ্রত্যাশিত সুযোগটা দারুণ কাজে লাগিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু তার মূল কাজ বোলিং। এই টুর্নামেন্টে খেলছিলেনও দারুণ। কিন্তু ফাইনালে এসে কি যেন হয়ে গেল তার। চার ওভারে ২৭ রান দেওয়ায় তাকে আর বল দেওয়ার সাহস করেননি অধিনায়ক। বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু পুরো ১০ ওভারই করেছেন। কিন্তু লো স্কোরিং মেয়েছে দিয়ে ফেলেন ৫৬ রান।

ভারতের স্পিনারদের সাফল্য দেখে আশাবাদী হওয়া মাশরাফি বোকা বনেছেন নিজেদের বেলায়, ‘প্রথম ইনিংসে স্পিন হচ্ছে উইকেটে। তখন ত স্পিনারদের ভরসা করবেন। পুরো টুর্নামেন্টে মিরাজ সেরা বোলার, মাহমুদউল্লাহ লাস্ট ম্যাচে বেস্ট বল করেছে। আমাদের শুধু দরকার ছিল ১০টা ওভার বের করা ওইখানে। যেটা আমরা করতে পারছিলাম না ওইসময়। আমার মনে হয় অপু আরেকটু বেটার বল করতে পারত। যেকোনো স্পিনার যদি সাপোর্ট দিত আজকে ম্যাচটা হয়ত কঠিন হত না। তবু ২২২ রান করে বোলারদের দোষ দিতে পারেন না।’

Read More: ‘আমাদের মনে হচ্ছিল এটা আউট না’​

Comments

The Daily Star  | English
shutdown at Jagannath University

Students, teachers call for JnU 'shutdown'

JnU students have continued their blockade at the capital's Kakrail intersection for the second consecutive day

3h ago