‘শিরোপা ভারতের, জয় ক্রিকেটের’

ফাইল ছবি

শেষ বল পর্যন্ত টান টান উত্তেজনা। তাও মাত্র ২২২ রানের পুঁজি নিয়ে। তাই করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ। সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে দারুণ রোমাঞ্চকর ম্যাচ উপহার দিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে শেষটায় ভাগ্য সঙ্গ না দেওয়াই শিরোপা জিতে নিয়েছে ভারত। কিন্তু এমন ম্যাচে জয়টা ক্রিকেটেরই হয়েছে বলে মনে করেন পাকিস্তানের সাবেক পেস বোলার শোয়েব আক্তার।

এক সময়ের বিধ্বংসী ফাস্ট বোলার শোয়েব ক্রিকেট ছেড়ে এখন পুরাদস্তুর ধারাভাষ্যকার। আগের দিন এশিয়া কাপের ফাইনালটাও দেখেছেন সামনে থেকেই। এমন ম্যাচের পর নিজের উচ্ছ্বাস গোপন রাখতে পারেননি তিনি। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দলকেই অভিনন্দন জানিয়ে নিজের ব্যক্তিগত টুইটারে লিখেছেন, ‘এশিয়া কাপ জয়ের জন্য ভারতকে অভিনন্দন। তবে অবশ্যই বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানাতে হয় দুর্দান্ত একটি লড়াই উপহার দেওয়ার জন্য। আজ রাতে ক্রিকেটের জয় হয়েছে।’

কি হয়নি ফাইনালের সে ম্যাচে। ওপেনিংয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের চেহারা হুট করেই বদলে গেল। লিটন দাসের সঙ্গে ১২০ রানের বিস্ময় উপহার দিলেন নতুন ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর ছন্দপতন। পরের ১০২ রান করতে শেষ সব উইকেট। মাঝে লিটনের দারুণ সেঞ্চুরি। সঙ্গে বিতর্কিত আউট। এরপর লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ভারতকে। ভাগ্যটা টাইগারদের একটু সঙ্গ দিলে হয়তো বদলে যেত ফলাফল। এমন ম্যাচে মুগ্ধ সাবেক বর্তমান অনেক ক্রিকেটারই।

বাংলাদেশকে নিয়ে বহু কটূক্তি করা শেবাগও নিজের টুইটারে বাংলাদেশকে টুপি খোলা অভিনন্দন জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ, এতো কাছে তবু কত দূর। আরও একবার এশিয়া কাপ জেতার জন্য ভারতীয় দলকে অভিনন্দন। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড় ছাড়াও এমন উজ্জীবিত লড়াই উপহার দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ দলকে টুপি-খোলা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। এই জয়ের পরও ভারতের আরও উন্নতির অনেক জায়গা আছে। আশা করি ওরা আরও ভালো করবে।’

প্রায় একই রকম কথা নিজের টুইটারে লিখেছেন ভিভিএস লক্ষ্মণও, ‘এশিয়া কাপ জেতায় ভারতকে অভিনন্দন। বাংলাদেশের প্রতি টুপি-খোলা শ্রদ্ধা। যেভাবে সাকিব ও তামিমকে ছাড়াই দৃঢ়চেতা মনোভাব দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। কখনোই হাল ছাড়েনি। নিজেদের সর্বস্ব ঢেলে দিয়ে লড়াই করেছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh intensifies Covid-19 screening at Benapole amid surge in India

The move comes following an alert issued by the Directorate General of Health Services (DGHS) on June 6

2h ago