ভোটের আগে ১.৫ মিলিয়ন ডলার নিয়েছেন আব্দুল্লাহ ইয়ামিন!

মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ পাচারবিরোধী সংস্থা। পুলিশের কাছে দেওয়া অভিযোগে তারা বলেছেন, নির্বাচনের ঠিক আগে তৃতীয় একজন ব্যক্তি ইয়ামিনের ব্যক্তিগত একাউন্টে নগদ এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা দেন। পরে এই তিনি এই অর্থ তুলে নেন।
মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন। ছবি: রয়টার্স

মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ পাচারবিরোধী সংস্থা। পুলিশের কাছে দেওয়া অভিযোগে তারা বলেছেন, নির্বাচনের ঠিক আগে তৃতীয় একজন ব্যক্তি ইয়ামিনের ব্যক্তিগত একাউন্টে নগদ এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা দেন। পরে এই তিনি এই অর্থ তুলে নেন।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই নির্বাচনে চীনপন্থী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া আব্দুল্লহ ইয়ামিন বড় ভোটের ব্যবধানে বিরোধীদের কাছে ধরাশায়ী হন। এখন দেশটির অর্থ পাচারবিরোধী সংস্থাটি বলছে, নির্বাচনের দিনের মাত্র কয়েকদিন আগে ৫ সেপ্টেম্বর ও ১০ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপ ইসলামি ব্যাংকের মাধ্যমে দুই কিস্তিতে এই অর্থ লেনদেন হয়।

ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ওই চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ‘অর্থের উৎস সম্পর্কে ব্যাংকের কাছে প্রশ্ন করা হলে জানানো হয়, কয়েকটি বেসরকারি কোম্পানি ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে নির্বাচনী তহবিল হিসেবে ওই অর্থ দেওয়া হয়েছে। চিঠিটির একটি কপি আল জাজিরার হাতে এসেছে। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চিঠিটির সত্যতা নিশ্চিত করলেও এ সম্পর্কে আর কোনো ধরনের মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।

মালদ্বীপের আইন অনুযায়ী নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ ও ব্যবহারের জন্য ব্যাংকে পৃথক হিসাব (একাউন্ট) খোলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত একাউন্টে অর্থ নিলেও আব্দুল্লাহ ইয়ামিনকে এখনই অভিযুক্ত করা যাবে না। অর্থের উৎস ও কিভাবে তিনি তা ব্যয় করেছেন সে সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য তিনি আরও প্রায় সময় পাবেন।

Comments

The Daily Star  | English
expediency

Expediency triumphs over principle in electoral politics

It appears that all of the ruling party’s efforts revolve around the next election, not considering longer-term ramifications for the itself.

5h ago