‘এই কষ্ট বলে বোঝানো যাবে না’
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মিনহাজুর রহমান রান আউট হতে মাঠেই বসে পড়লেন বাংলাদেশ যুবদলের দুই ব্যাটসম্যান। এত কাছে গিয়েও ২ রানের হারের কষ্ট হজম করতে পারছিলেন না তারা। জয়ী ভারতীয় ক্রিকেটাররাই টেনে তুলতে গেলেন তাদের। ম্যাচ শেষে যুবদলের সেরা ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন জানিয়েছেন তাদের কষ্টের কথা।
কদিন আগে এশিয়া কাপে জাতীয় দল শেষ বলে হেরেছিল ভারতের কাছে। যুবাদের সামনে সুযোগ ছিল সেই কষ্টে প্রলেপ দেওয়ার। উল্টো তাদেরও জমা হয়েছে কষ্ট-গাঁথা।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠার ম্যাচে ভারতকে ১৭২ রানে আটকে রেখেছিল বোলাররা। ওই রান তাড়ায় ১৭০ রানে থেমে যায় তৌহিদ হৃদয়ের দল। শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে দলকে টেনে তুলেছিলেন শামীম হোসেন। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৯ রান এসেছে তার ব্যাট থেকেই।
শেষটা করে আসতে না পারায় অপরাধবোধে ভুগছেন তিনি। এমনকি ধরে রাখতে পারছেন না আবেগ, ‘এমন হারের কষ্টটা তো বলে বুঝানো যাবে না। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম, ম্যাচটা শেষ করে আসার (কান্না)। ’
ষষ্ট উইকেটে আকবর আলিকে নিয়ে ৮০ রানের জুটিয়ে অনায়াসে জেতার পথেই নিয়ে গিয়েছিলেন শামীম। সেখান থেকে টপাটপ উইকেট পতনে হারতে হয় তাদের, ‘আমার লক্ষ্য ছিল আমি ম্যাচটা শেষ করে আসব। আমি যথেষ্ট চেষ্টা করেছি, আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমাদের ব্যাটসম্যানরা মোটামুটি ভালোই করেছে, কিন্তু ম্যাচ ফিনিশ করতে পারে নি। আমাদের কিছু কিছু জায়গায় ঘাটতি ছিল।
‘এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ দলটি নতুন। সামনে আমাদের যেসব টুর্নামেন্ট গুলো হবে, আমরা চেষ্টা করব এই ছোট ছোট ভুল গুলো যেন পুনরায় না হয়। ’
তবে এবার না পারলেও শেখাটা বিফলে যাবে না মনে করছেন এই তরুণ, ‘অনেক কিছুই শিক্ষা নেয়ার আছে, আসলে হাটতে হাটতে মানুষ জয়ের পথে যায়, এটাই। ’
এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে শুরু করেছিলেন বাংলাদেশ। পরে পাকিস্তান ও হংকংকে হারিয়ে নিশ্চিত করে সেমিফাইনাল।
Comments