আঙুলটা আর কখনো শতভাগ ঠিক হবে না: সাকিব

বা হাতের কনিষ্ঠা আঙুলের চোটের চিকিৎসার ব্যাপারে পরামর্শ নিয়ে শুক্রবার রাতে অস্ট্রেলিয়া উড়ে গেছেন সাকিব আল হাসান। যাওয়ার আগে জানিয়ে গেলেন আঙুলের ওই চোটটা আর পুরোপুরি সেরে উঠার সম্ভাবনা নেই। তবে খেলার মতো অবস্থায় ঠিকই ফিরতে পারবেন তিনি।
Shakib AL Hasan
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে চোট পান সাকিব আল হাসান। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বা হাতের কনিষ্ঠা আঙুলের চোটের চিকিৎসার ব্যাপারে পরামর্শ নিয়ে শুক্রবার রাতে অস্ট্রেলিয়া উড়ে গেছেন সাকিব আল হাসান। যাওয়ার আগে জানিয়ে গেলেন আঙুলের ওই চোটটা আর পুরোপুরি সেরে উঠার সম্ভাবনা নেই। তবে খেলার মতো অবস্থায় ঠিকই ফিরতে পারবেন তিনি।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বা হাতের কড়ে আঙুলে চোট পান সাকিব। সাময়িক চিকিৎসার পর ওই চোট নিয়েই সাকিব খেলে যাচ্ছিলেন একের পর এক সিরিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে নতুন করে ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় অস্ত্রোপচারের দরকার দেখা দেয় তার হাতে।

তবে চিকিৎসকরা বলেছিলেন, যেকোনো সুবিধাজনক সময়েই অস্ত্রোপচার করালে চলবে। ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে এশিয়া কাপ খেলার পর তাই সাকিবের অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত হয়েছিল।  কিন্তু এশিয়া কাপেই নতুন করে চোট মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে দেশে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। বিপদ বেড়ে যায় তখনই। চোটের ওই জায়গায় দেখা দেয় সংক্রমণ। মেলবোর্নে শল্যবিদ গ্রেগ হয়ের পরামর্শের সাকিবের চিকিৎসার পরের ধাপ ঠিক করা হবে।

মূল চিকিৎসায় যাওয়ার আগে আপাতত সংক্রমণ নিয়েই চিন্তিত সাকিব,  ‘সংক্রমণ সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার জায়গা। ওটা যতক্ষণ পর্যন্ত জিরো পার্সেন্টে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো শল্যবিদ অস্ত্রোপচার করবে না। ওখানে হাত দিলে হাড়ে চলে যাবে, আর হাড়ে চলে গেলে পুরো হাত নষ্ট।’

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনলে পরেই করা হবে অস্ত্রোপচার। তবে তাতেও আঙুল আগের মতো অবস্থায় ফেরার সম্ভাবনা নেই। কিছুটা সমস্যা নিয়েই খেলতে হবে বলে জানান সাকিব,  ‘এখন আসল ব্যাপারটা হচ্ছে কীভাবে সংক্রমণটা কমানো যায়। এই আঙুলটা আর কখনো শতভাগ ইয়ে (ঠিক) হবে না। যেহেতু নরম হাড়, আর কখনো জোড়া লাগার সম্ভাবনা নেই। পুরোপুরি ঠিক হবে না। অস্ত্রোপচার করে ওরা এমন একটা অবস্থায় এনে দেবে হাতটা, ব্যাট ভালোভাবে ধরতে পারব, ক্রিকেট চালিয়ে যেতে পারব।’

দলে সাকিবের প্রয়োজনীয়তা কত বেশি বারবার বুঝিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ দলের সাফল্যের মূল কারিগরদের একজন সাকিব। তবে এশিয়া কাপের ফাইনালের উদাহরণ টেনে সাকিব নিজে মনে করছেন কারো জন্য আসলে কিছুই থেমে থাকবে না, ‘আমাদের যে জীবন, কিছু না কিছু করতে হয়। সেখানে বাসায় বসে থাকা একটু হতাশার। সবাই ভাবি আমরা (সিনিয়র খেলোয়াড়েরা) ছাড়া দল চলবে না। এই যে সুযোগ পেল (এশিয়া কাপে) তারা (জুনিয়ররা) কিন্তু ঠিকই পেরেছে। আরও কিছু খেলোয়াড় যদি না খেলে, মনে হয় না কোনো সমস্যা হবে।’

Comments

The Daily Star  | English
Yunus-led interim govt takes charge

2 months of interim govt: Hopes still persist

The interim government had taken oath two months ago with overwhelming public support and amid almost equally unrealistic expectations.

4h ago