অবশেষে নিয়োগ পেলেন কাভানা, শক্তিশালী হলেন ট্রাম্প

বহু বিতর্ক, যৌন হয়রানির একাধিক অভিযোগ ও বিক্ষোভের পরও যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে গেলেন ব্রেট কাভানা। গতকাল দেশটির সিনেটে মাত্র দুই ভোটের ব্যবধানে তার নিয়োগ অনুমোদন পায়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস শপথ বাক্য পড়াচ্ছেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া ব্রেট কাভানাকে। ছবি: রয়টার্স

বহু বিতর্ক, যৌন হয়রানির একাধিক অভিযোগ ও বিক্ষোভের পরও যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে গেলেন ব্রেট কাভানা। গতকাল দেশটির সিনেটে মাত্র দুই ভোটের ব্যবধানে তার নিয়োগ অনুমোদন পায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে কাভানার বিচারপতি হওয়া সুপ্রিম কোর্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বড় ধরনের বিজয়। বিশেষ করে একের পর এক বিতর্ক ও প্রতিবাদ উপেক্ষা করে যেভাবে তিনি নিয়োগ পেলেন তাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থায় ডানপন্থীদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হলো বলে মনে করছেন তারা।

বিবিসির খবরে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাভানাকে বিচারপতি হিসেবে মনোনিত করার পর পরই তার বিরুদ্ধে একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগ আসতে শুরু করে। এসব অভিযোগ নিয়ে তদন্তও শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। এই তদন্ত যখন প্রায় শেষ মুহূর্তে এসে উপনীত ঠিক তখনই তার নিয়োগের পক্ষে রায় দিলো।

তবে শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন কাভানা। পাল্টা অভিযোগ, তার সুনাম নষ্ঠ করার জন্যই ডেমোক্রেটরা তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করছে। বিচারতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পও টুইট করে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, কাভানাকে ডেমোক্রেটদের ভয়াবহ আক্রমণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি তিনি নিরপরাধ ও তার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ তুলেছে তারা ভুল করেছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টিন ব্লেসি ফোর্ডের অভিযোগের কারণে কাভানার নিয়োগ নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। ক্রিস্টিন অভিযোগ করেন, ১৯৮২ সালে হাইস্কুলে পড়ার সময় এক পার্টিতে কাভানা মাতাল অবস্থায় তাকে যৌন হয়রানি করেছিল। এরপর আরেক নারী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ডেবোরাহ রামিরেজ নামের ওই নারী অভিযোগ করেন, ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় ডরমিটরি পার্টিতে কাভানা সম্মতি ছাড়াই তাঁর শরীর স্পর্শ ও যৌন হয়রানি করেন। একের পর এক আরও অভিযোগ এসেছে। জুলি নামের ওয়াশিংটন ডিসির এক নারী অভিযোগ করেছেন, ১৯৮২ সালে কাভানার উপস্থিতিতে এক পার্টিতে তিনি গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago