হারিসের সেঞ্চুরির পর হঠাৎ ছন্দপতন পাকিস্তানের
রানের পাহাড় গড়ার ইঙ্গিত আগের দিনই দিয়েছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিনে সে পথেই আগাচ্ছিল তারা। দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন হারিস সোহেল। সেঞ্চুরির পথে ছিলেন আসাদ শফিকও। কিন্তু এ দুই ব্যাটসম্যানের জুটি ভাঙার পর হঠাৎ ছন্দ হারায় দলটি। শেষ ছয়টি উইকেট হারায় ৭২ রান তুলতেই।
দুবাইয়ে আগের দিনের ৩ উইকেটে ২৫৫ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দলীয় স্কোরে ৫ রান যোগ করতেই নাইটওয়াচম্যান মোহাম্মদ আব্বাসকে হারায় পাকিস্তান। এরপর হারিসের সঙ্গে শফিকের দারুণ এক জুটি। ১৫০ রানের জুটি গড়ে বিশাল স্কোরের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল দলটি। কিন্তু দলীয় ৪১০ রানে শফিক আউট হওয়ার পর থেকেই শুরু ছন্দপতন। তাদের দুর্ভাগ্য আরও বাড়িয়েছে দলের সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজম ও অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের রানআউটে। ফলে ৪৮২ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
১১০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন হারিস। ২৪০ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ১৬৫ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন শফিক। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৫৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান পিটার সিডল। ২টি উইকেট নেন নাথান লাওন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছে অস্ট্রেলিয়া। কোন উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান করে দিন শেষ করেছে তারা। উসমান খাজা ১৭ ও অ্যারন ফিঞ্চ ১৩ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : (দ্বিতীয় দিন শেষে)
পাকিস্তান :
প্রথম ইনিংস : ৪৮২ (ইমাম ৭৬, হাফিজ ১২৬, আজহার ১৮, হারিস ১১০, আব্বাস ১, শফিক ৮০, বাবর ৪, সরফরাজ ১৫, আসিফ ১২, ওয়াহাব ৭*, ইয়াসির ৩; স্টার্ক ১/৯০, সিডল ৩/৫৮, লাওন ২/১১৪, হল্যান্ড ১/১২৬, লাবুশেন ১/২৯, মার্শ ০/৩৮)।
অস্ট্রেলিয়া :
প্রথম ইনিংস : ৩০/০ (খাজা ১৭*, ফিঞ্চ ১৩*; আব্বাস ০/৯, ওয়াহাব ০/৬, ইয়াসির ০/১৪, হাফিজ ০/১, আসিফ ০/০)।
Comments