‘আদালতের পর্যবেক্ষণে ক্ষমতাসীন দলের বক্তব্যের প্রতিফলন’

Mirza Fakhrul Islam Alamgir
১২ অক্টোবর ২০১৮, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলাকে রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় হামলা বলে আদালতের পর্যবেক্ষণের যে খবর প্রচারিত হয়েছে- তাতে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক বক্তব্যের হুবহু প্রতিফলন দেখে দেশের জনগণের মতো বিএনপিও বিস্মিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, “রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে- ১৯৭১ এর পরাজিত শক্তি এদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালাতে থাকে। পরাজিত শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিকে রোধ করে। জাতির পিতাকে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু, ষড়যন্ত্র থেমে না গিয়ে বহমান থাকে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার হীন চেষ্টা চালানো হয় বলেও আদালতের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আদালতের এসব পর্যবেক্ষণ এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বক্তব্য হুবহু এক। কিন্তু লক্ষণীয় হলো- ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড, জেলখানায় জাতীয় চার নেতার বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মতো ঘৃণ্য অপরাধকে এক সূত্রে গাঁথার যুক্তি সঠিক হলে বিএনপি কিম্বা বিএনপি পরিচালিত রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপরাধী বলা হলো কোন যুক্তিতে?”

“১৯৭৪ সালে বিএনপি’র জন্মও হয়নি এবং ১৫ আগস্ট কিম্বা ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডের বিচারে কোন আদালতই বিএনপি কিম্বা বিএনপির কোন নেতাকে অভিযুক্ত-এমনকি সম্পৃক্তও করেনি,” যোগ করেন ফখরুল।

তার প্রশ্ন, “তাহলে ২১ আগস্টের ঘটনার বিচারের পর্যবেক্ষণে আগের দুটি ঘটনার উল্লেখ কতটা প্রাসঙ্গিক?”

বিএনপির নেতার মতে, “দল বিশেষের রাজনৈতিক বক্তব্যের সাথে আদালতের পর্যবেক্ষণ মিলে যাওয়া কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয় বলেই জনগণ মনে করে। অন্যদিকে হুজি নেতা মুফতি হান্নান দৈহিক ও মানসিক নির্যাতনের মুখে যে জবানবন্দী দিয়েছিলেন তা তিনি প্রকাশ্য আদালতে লিখিতভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরেও তারই জবানবন্দীকে ভিত্তি করে তারেক রহমান এবং অন্যান্য বিএনপি নেতাকে অভিযুক্ত করে শাস্তি দেওয়াটা কতটা মানবিক ও যুক্তিযুক্ত কিম্বা আইনসংগত হয়েছে তা উচ্চ আদালত বিবেচনা করবে বলে আমরা আশা করি।”

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago