সম্পাদক পরিষদের মানববন্ধন সোমবার
সাংবাদিক, সুশীল সমাজসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন পক্ষের আপত্তি আমলে না নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর করার প্রতিবাদে আগামী সোমবার (১৫ অক্টোবর) মানববন্ধন করবে সম্পাদক পরিষদ।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে জাতীয় দৈনিকগুলোর সম্পাদকদের নিয়ে গড়া এ সংগঠনটি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদ, সাংবাদিক, সাংবাদিকদের সংগঠন, নাগরিক সমাজ আপত্তি তুলেছেন। তারা বলেছেন, এই আইনের বিভিন্ন ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতা ও জনগণের বাকস্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করবে।
আইনটি কার্যকরের আগেই সংশোধনের দাবি জানিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর মানবন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। সে সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এই কর্মসূচি স্থগিত করে সম্পাদক পরিষদকে আলোচনায় অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এরপর তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং ডাক, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করেন। ওই আলোচনায় তিন মন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিষয়টি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা এবং মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে এ নিয়ে আরও আলোচনা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী মন্ত্রিসভার দুটি বৈঠকে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
সম্পাদক পরিষদ বলছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারাগুলো স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আইনটির খসড়া মন্ত্রিসভায় পাস হওয়ার পর থেকে বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন তারা। সেই সঙ্গে ঔপনিবেশিক অফিসিয়াল সিক্রেট এক্ট যুক্ত করার ব্যাপারেও আপত্তি রয়েছে।
জাতীয় সংসদের ভেতরে-বাইরে বিভিন্ন পক্ষের আপত্তি, উদ্বেগ ও মতামত উপেক্ষা করে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল পাস করা হয়। গত ২ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে স্বাক্ষর করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর গত ৮ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি কার্যকর হয়ে যায়।
Comments