তৃতীয়বারের মতো পেছালো সালাউদ্দিনের মামলার রায়ের তারিখ

salahuddin ahmed
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ। স্টার ফাইল ছবি

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে আনা অনুপ্রবেশের মামলার রায় আবারও পিছিয়েছে। তবে সরকরিভাবে জেলা দায়রা আদালতের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এখনও নতুন তারিখ প্রকাশিত না হলেও মামলার রায়ের পরবর্তী তারিখ ৯ নভেম্বর বলেই জানিয়েছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ।

পরপর তিনবার রায় পেছানোয় হতাশ সালাউদ্দিনের আইনজীবী এস পি মহন্ত। একইভাবে হতাশার কথা জানিয়েছেন বিবাদী নিজেও।

সর্বশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার কথা থাকলেও সেদিন নতুন করে ১৫ অক্টোবরের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এর আগে ১৩ আগস্ট প্রথমবারের মতো রায়ের দিন ঘোষণার তারিখ থাকলেও সেদিনও পেছানো হয় তারিখ।

পরপর রায় পেছানোর বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টেলিফোনে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, “ভারতের আইন ব্যবস্থা নিয়ে কোনও মন্তব্য করবো না। তবে মামলাটির রায় পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়েছি।”

যোগাযোগ করা হলে একইভাবে তার আইনজীবী মেঘালয়ের বর্ষীয়ান আইনজ্ঞ হিসেবে পরিচিত এস পি মহন্ত বলেন, “এটি আদালতের বিষয়। তবে রায়ের তারিখ পেছানোয় আমিও হতাশ।”

তারা দুজনই জানান আদালত পরবর্তী তারিখ দিয়েছে ৯ নভেম্বর। তবে সেটি এখনো মৌখিকভাবে বা কাগজপত্রে জানানো হয়নি।

আগামী ৯ নভেম্বর মেঘালয় রাজ্যে সরকারি ছুটির দিন। সেই ছুটির দিন মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য হওয়ায় সেই তারিখ নিয়েও সংশয়ের কথা জানান মামলার বিবাদী ও তার আইনজীবী।

এছাড়া, দীর্ঘদিন দেশে ফিরতে না পারায় এবং দেশে ফিরে রাজনীতিতে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করার বিষয়েও এদিন মুখ খুলেছেন তিনি।

তিনি বলেন, দেশে যে পরিস্থিতি চলছে সেই পরিস্থিতির এক সময় উত্তরণ হবেই। নতুন জোট নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এই জোট গণতান্ত্রিক জোট। জাতীয় স্বার্থের জোট। বাংলাদেশের গণতন্ত্র মুক্তির জোট। দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে দুঃশাসনকে বিদায় করার জন্য।”

তার মন্তব্য, বাংলাদেশের মানুষের এই জোটের মধ্য দিয়ে তাদের গণতান্ত্রিক মুক্তি হবে। এই জোটকে তিনি জনগণের ঐক্য বলেও মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং এর একটি খেলার মাঠ থেকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে আটক করে ইস্ট খাসি হিল জেলা পুলিশ। ওই জেলার সদর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।

১৯৪৬-এর ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪ ধারায় ভারতে অনুপ্রবেশের মামলা (সদর থানায় মামলা নম্বর ১৩৩/২১০৫) হয় সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় গ্রেফতার সালাউদ্দিন প্রথম আদালতে হাজির হয়েছিলেন ২০১৫ সালের ১০ জুন।

শারীরিক কারণে শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন এই বিএনপি নেতা। বর্তমানে তিনি শিলং শহরে একটি বিলাসবহুল বাড়ি ভাড়া করে থাকছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Awami League should be punished as a party: Fakhrul

He made the remarks after visiting a BNP man undergoing treatment at National Institute of Neurosciences and Hospital

9m ago