পাকিস্তানে শিশু জয়নবের ধর্ষক-হত্যাকারীর ফাঁসি কার্যকর

পাকিস্তানে ছয় বছর বয়সী শিশু জয়নব আনসারি ধর্ষক-হত্যাকারীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এ সময় শিশুটির বাবাসহ আত্মীয়রা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের চোখের সামনেই হত্যাকারীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
জয়নবের ধর্ষক ও হত্যাকারীর শাস্তির দাবিতে গত জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছিল। ছবি: ডন/এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

পাকিস্তানে ছয় বছর বয়সী শিশু জয়নব আনসারি ধর্ষক-হত্যাকারীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এ সময় শিশুটির বাবাসহ আত্মীয়রা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের চোখের সামনেই হত্যাকারীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

গত জানুয়ারি মাসে লাহোরের দক্ষিণের শহর কাসুরে জয়নবকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছিল ইমরান আলী। একটি আবর্জনার স্তূপে শিশুটির লাশ ফেলে দেন তিনি। পুলিশ বলেছে, গত বুধবার লাহোরে একটি কারাগারে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।

জয়নবের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছিল। অপরাধীকে সনাক্ত করতে পুলিশের অদক্ষতার প্রসঙ্গটিও আলোচনায় আসে সেসময়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, জয়নবের লাশ পাওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। একে কেন্দ্র করে বিক্ষোভের ঘটনায় দুজন প্রাণ হারিয়েছিলেন তখন।

ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত ইমরান আলীকে দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ সাজা দেন আদালত। পরে তার বিরুদ্ধে আরও ছয় জন মেয়েকে ধর্ষণে অভিযুক্ত করা হয়। উচ্চ আদালতও এই সাজা বহাল রাখেন।

জয়নবের বাবা আমিন আনসারি সাংবাদিকদের বলেছেন, মেয়ের হত্যাকারীর সাজায় তিনি ‘সন্তুষ্ট’।

‘তার কঠোর পরিণতি আমি নিজের চোখে দেখেছি।’

তিনি আরও জানান, জয়নব বেঁচে থাকলে এখন তার বয়স হতো সাত বছর দুই মাস। তিনি চেয়েছিলেন জয়নবের হত্যাকারীর সাজা সরাসরি সম্প্রচার করা হোক। এর জন্য লাহোর হাইকোর্টে আবেদনও করেছিলেন। তবে আদালত এতে সায় দেননি।

গত ৪ জানুয়ারি কোরান শিখতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় জয়নব। পাঁচ দিন পর আবর্জনার স্তূপে তার লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ জানায়, গত দুই বছর ধরে কাসুর শহরে একই কায়দায় আরও কয়েকটি শিশু ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হলেও কূল-কিনারা পাওয়া যাচ্ছিল না। জয়নব হত্যার সূত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়ে তারা এর সমাধান পেয়েছেন।

Comments