চিন্তার বদল আর বৈচিত্র্যে উন্নতি মিরাজের

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে হুট করে ‘এ’ দলে ডাকা হয় অফ স্পিনার সোহাগ গাজীকে। ভাবনাটা ছিল ওয়ানডে ঘিরে। রঙিন পোশাকে একজন কার্যকর অফ স্পিনারের সংকট নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন টিম ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ এক সদস্য। সেই উদ্বেগ থেকেই গাজীকে দলে নেওয়ার চিন্তাও করা হয়। পরে যদিও সেটা হয়নি। ওয়ানডেতে আস্থার জায়গায় না থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ ওই সিরিজে থেকেই নিজেকে নতুন করে চেনাতে শুরু করেন।
Mehidy Hasan Miraz
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে হুট করে ‘এ’ দলে ডাকা হয় অফ স্পিনার সোহাগ গাজীকে। ভাবনাটা ছিল ওয়ানডে ঘিরে। রঙিন পোশাকে একজন কার্যকর অফ স্পিনারের সংকট নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন টিম ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ এক সদস্য। সেই উদ্বেগ থেকেই গাজীকে দলে নেওয়ার চিন্তাও করা হয়। পরে যদিও সেটা হয়নি। ওয়ানডেতে আস্থার জায়গায় না থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ ওই সিরিজে থেকেই নিজেকে নতুন করে চেনাতে শুরু করেন।

এমনিতে টেস্টে মিরাজ শুরু থেকেই বাংলাদেশ দলের প্রায় অপরিহার্য সদস্য। ওয়ানডেতে তার কাছ থেকে মিলছিল না কার্যকর ভূমিকা। মিরাজের ১৭ ওয়ানডের ছোট্ট ক্যারিয়ার আসলে দুইভাগে ভাগ করা যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে ও পরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে খেলেছেন ৮ ওয়ানডে। তারমধ্যে পরিত্যক্ত এক ম্যাচ বাদ দিলে বাকি সাতটিতে নিয়েছেন ৭ উইকেট। ইকোনমি রেটটা ৫.০০। খুব একটা মনে ধরার মতো নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে খেললেন আরও ৯ ম্যাচ। তাতে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। সবচেয়ে বড় কথা ওভারপ্রতি রান নিয়েছেন মাত্র ৩.৯০ করে। বর্তমান মার কাটারি ক্রিকেটে তার ইকোনমি রেটটা বেশ আকর্ষণীয়।

এই সময়ে তিনি নিয়মিত বল করেছেন পাওয়ার প্লেতেও। নিখুঁত নিশানা ধরে রেখে ব্যাটসম্যানদের চাপ বাড়িয়েছেন। কখনো নিজে উইকেট না পেলেও ওই চাপ থেকে উইকেট পড়েছে আরেক পাশে।

কীভাবে বোলিংয়ে এই উন্নতি? জিম্বাবুয়ে সিরিজের অনুশীলনের মধ্যে মনোবিদের ক্লাসে যাওয়ার আগে এই অফ স্পিনার জানিয়েছেন চিন্তা ভাবনার প্যাটার্নে এনেছিলেন বদল। তুনে যোগ করেছেন নতুন অস্ত্র। আর তাতেই মিলছে সাফল্য,  ‘আমার কাছে মনে হয় আমি আগের চিন্তার তুলনায় এখন একটু ভিন্ন ভাবে চিন্তা করছি। কিভাবে কি করতে হবে, এইসব নিয়ে মানসিকভাবে একটু শক্ত হয়েছি। আর বোলিংয়ে কিছু বৈচিত্র্য এনেছি, ওইগুলো হয়তো কাজে দিচ্ছে।’

কি কি বৈচিত্র্য যোগ করেছেন ব্যাখ্যা করেছেন তাও, ‘বৈচিত্র্য বলতে, আমি আগে প্রায়সময় এক গতিতেই বল করতাম। সিমের পজিশন একটু অন্য রকম ছিল আগে। সিমের গতিপথ পরিবর্তন করেছি। আগে ৪৫ ডিগ্রিতে বল করতাম। এখন ৯০ ডিগ্রিতে করছি। একটু মিক্স করে বল করছি। এইগুলোই, গতিপথ পরিবর্তন করে কিছু বৈচিত্র্য এনেছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka-dwellers continues to deplete at a dramatic rate and threatens to disappear far below the ground.

29m ago