মায়ের পাশে শায়িত হলেন ‘রূপালি গিটারের কবি’
‘এই রূপালি গিটার ফেলে একদিন চলে যাবো দূরে, বহুদূরে’ নিজের কণ্ঠের গাওয়া এ গানের কথাগুলোই সত্যি হলো বাংলা ব্যান্ডসংগীতের কিংবদন্তি গিটারবাদক ও সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর বেলায়। তিনি চলে গেলেন সবাইকে ছেড়ে। চিরতরে শায়িত হলেন মায়ের কবরের পাশে।
বাচ্চুর এক ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন আজ (২০ অক্টোবর) সংবাদিকদের জানান, রকস্টার সবশেষ চট্টগ্রামে এসেছিলেন গত ১২ অক্টোবর। সেদিন তিনি মায়ের কবর জিয়ারত করেছিলেন। গোরস্তানের তত্ত্বাবধায়ককে জানিয়েছিলেন নিজের শেষ ইচ্ছার কথা। এমনকি, দেখিয়ে দিয়েছিলেন মৃত্যুর পর কোথায় তার কবর হবে। এর পরদিন তিনি একটি অনুষ্ঠনের গান করেন।
আমাদের স্থানীয় সংবাদদাতা বলেন, বাচ্চুর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে মায়ের কবরের পাশে শায়িত করা হলো। চৈতন্য গলি কবরস্থানেই হলো ‘একা’-খ্যাত এ শিল্পীর শেষ ঠিকানা। বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে জামিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে আইয়ুব বাচ্চুর চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বাচ্চুর শেষ জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য সেখানে নামে মানুষের ঢল। হাজারো মানুষ ছুটে আসেন প্রখ্যাত এই রকস্টারকে বিদায় জানাতে। জানাজার আগে মসজিদের মাঠেই রাখা হয় বাচ্চুর মরদেহ। এ সময় চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রিয় শিল্পীর প্রতি।
ঢাকায় আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম ও দ্বিতীয় জানাজা এবং সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানো শেষে আজ সকালে সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয় তাকে। ইউএস বাংলার একটি বিশেষ ফ্লাইটে নিজ শহরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। হজরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাচ্চুর মরদেহ গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৬ বছর বয়সে মারা যান ‘রূপালি গিটারের কবি’ আইয়ুব বাচ্চু। তার মৃত্যুতে গোটা দেশে নেমে আসে শোকের ছায়া। দেশের বাইরেও শোকাতুর হন বাচ্চুভক্তরা।
Comments