বিব্রতকর নতুন রেকর্ড গড়ে লেভান্তের কাছেও হারল রিয়াল
দুঃসময় যেন কাটছেই না রিয়াল মাদ্রিদের। হারের বৃত্তে থাকা দলটির লক্ষ্য ছিল ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানো। অপেক্ষাকৃত দুর্বল লেভান্তের সঙ্গেও পারল না তারা। শুরুতেই দুই গোল খেয়ে পিছিয়ে পরা দলটি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে বটে। কিন্তু তাতে কেবল ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছে। ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে জুলেন লোপেতেগির দল।
এ ম্যাচে নামার আগে টানা চার ম্যাচে জয়হীন তো ছিলই, এমনকি কোন গোলও দিতে পারেনি রিয়াল। এদিন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো লক্ষ্যভেদ করলে গোলখরা কাটাতে পারে হুলেন লোপেতেগির শিষ্যরা। কিন্তু তার আগেই নিজেদের বিব্রতকর রেকর্ডকে আরও সমৃদ্ধ করে তারা। ৪৮২ মিনিট পর জাল খুঁজে পায় দলটি। এর আগে ১৯৮৫ সালে সর্বোচ্চ ৪৬৪ মিনিট গোলহীন ছিল দলটি।
ম্যাচের ৬ মিনিটেই এদিন গোল খেয়ে বসে রিয়াল। এরপর ১৩ মিনিটে বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে যেন নেমে আসে পিন পতন নীরবতা। আবারো গোল খায় দলটি। কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণ ছিল রিয়ালেরই বেশি। ৭০ শতাংশ বল পায়ে রেখে কেবল একটি গোলই শোধ করতে পেরেছে। ভাগ্য বদলাতে পারেনি। শেষ পাঁচ ম্যাচে এটা তাদের চতুর্থ হার।
নিজেদের অর্ধ থেকে সের্জিও পোস্তিগোর বাড়ানো বল রিয়াল ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানের ভুলে ডি-বক্সে পেয়ে যান হোসে মোরালেস। ক্ষিপ্র গতিতে গোলরক্ষক থিবো কর্তুয়াকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
১৩ মিনিটে লেভান্তের দ্বিতীয় গোলেও দায় ছিল ভারানের। ডি বক্সের মধ্যে ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল করায় প্রথমে ফ্রিকিকের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। পড়ে ভিডিও অ্যাসিসটেন্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন তিনি। আর সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রজের মার্তি।
চার মিনিট পর রামোসের হেড ক্রসবারে লেগে ফিরলে হতাশা বাড়ে রিয়ালের। তবে ফিরতি বলে পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন মার্কো আসেনসিও। কিন্তু ভিএআরে দেখা যায় রামোস হেড নেওয়ার সময় অফসাইডে ছিলেন আসেসিও। ৩৪তম মিনিটে আবারও তাদের হতাশ হতে হয় বল বারপোস্টে লেগে ফিরে আসলে। মারিয়ানো দিয়াসের হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে ফিরতি বলে কাসেমিরোর হেড কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক ওয়ের অলাজাবার।
৪৩তম মিনিটে আবারো ত্রাতা লেভান্তে গোলরক্ষক। এবার ঝাঁপিয়ে পরে রুখে দেন লুকাস ভাসকেসের শট। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে আবারও রিয়ালের জালে আবারো বল পাঠিয়েছিল লেভান্তে। কিন্তু ভিএআরের বেঁচে যায় তারা। অফসাইডে ছিলেন তোনো।
৭২তম মিনিটে জালের দেখা পায় রিয়াল। করিম বেনজেমার পাস থেকে দারুণ এক শটে জাল খুঁজে নেন মার্সেলো। পাঁচ মিনিট পর আবারো বারপোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ায় রিয়ালের। এবার বেনজেমার দূরপাল্লার শট বারে লেগে ফিরে আসলে সমতায় ফেরা হয়নি স্বাগতিকদের। ফলে আরও একটি হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় স্পেনের অন্যতম সফল এ দলটিকে।
Comments