বার্নলিকে উড়িয়ে দিল ম্যানসিটি
ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেকটা জোর করেই ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়তে বাধ্য করা হয় জো হার্ট। নতুন ঠিকানা বার্নলি। সাবেক দলের বিপক্ষে তাই ভালো কিছুই করতে চেয়েছিলেন হার্ট। কিন্তু উল্টো হজম করতে হয় পাঁচ গোল। হার্টের দুঃস্বপ্নের রাতে ৫-০ গোলের বড় জয়ে এককভাবে শীর্ষে উঠেছে ম্যানসিটি।
একের পর এক গোল খেয়ে ম্যাচের এক পর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন হার্ট। বার পোস্টে লাথি মারেন। তাতেও ক্ষান্ত হননি। পরে বলেও জোরে ঘুসি মেরেই শান্ত হন। এর আগেও বেশ কয়েকবার উত্তেজিত হয়ে পড়েন তিনি। আর হবেনই না কেন। সিটিজেনদের নিখুঁত গোলগুলোতে চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই যে করার ছিল না তার। তার উপর নিজেদের ডিফেন্সও ছিল অগোছালো।
প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে ম্যাচের ১৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। ডি বক্সের মধ্যে দাভিদ সিলভার আড়াআড়ি পাস থেকে দারুণ শটে বল জালে জড়ান আর্জেন্টাইন তারকা সার্জিও আগুয়েরো। প্রথমার্ধে গোল হয় এই একটিই। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আরও তেতে ওঠে সিটি।
৫৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ডিবক্সের মধ্যে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে পরে গেলে পেনাল্টির আবেদন করেন লেরয় সানে। উল্টো ডাইভ দেওয়ার আবেদন করে দাঁড়িয়ে যান বার্নলি খেলোয়াড়রাও। এ ফাঁকে বল বের্নার্দো সিলভাকে দেন দাভিদ সিলভা। বল ধরে জালে জড়াতে কোন ভুল করেননি এ পর্তুগিজ তারকা।
দুই মিনিট পর আবার গোল পায় সিটিজেনরা। কর্নার থেকে ঠিকভাবে বিপদমুক্ত করতে না পারলে ডিবক্সের ঠিক সামনে বল পেয়ে জোরালো এক নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফের্নানদিনহো। ৮৩ মিনিটে আরও একটি দারুণ গোল দেয় সিটি। ফের্নানদিনহোর পাস থেকে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে বাঁকানো এক শটে জাল খুঁজে নেন ফরাসী তারকা রিয়াদ মাহরেজ।
৯০ মিনিটে বার্নলির জালে শেষ পেরেক ঠুকে দেন সানে। বেঞ্জামিন মেন্ডির ক্রস থেকে আলতো টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন এ জার্মান ফরোয়ার্ড। ফলে ৫-০ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাধারীরা।
এ জয়ে ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। সমান সংখ্যক ম্যাচে দুই পয়েন্ট কম নিয়ে তাদের পরেই আছে চেলসি। ৯ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট টটেনহ্যাম হটস্পারেরও। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে আছে তারা।
Comments