চাপের মুখে ইমরুলের নায়কোচিত সেঞ্চুরি
ওয়ানডেতে ইমরুল কায়েসের আগের সেঞ্চুরিটি ছিল মিরপুরেই, এই অক্টোবর মাসেই, প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। সেবার রান তাড়ায় বেশ আগ্রাসী সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ইমরুল। যদিও সে ম্যাচে তীরে এসে তরী ডোবে বাংলাদেশের। ভিন্ন পরিস্থিতি, ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ইমরুল পেলেন আরেক সেঞ্চুরি। তার দারুণ সেঞ্চুরিতে বিপদে পড়া বাংলাদেশ পেয়েছে স্বস্তির সুবাতাস।
ডোলান্ড ত্রিপানোর বলটা স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়েই ৯৯ থেকে তিন অঙ্কে পৌঁছান ইমরুল। লাফিয়ে উঠে উদযাপন করার পর ব্যাটকে কোলে নেওয়ার ভঙ্গিতে চুমু খান। হয়ত কদিন আগে জন্ম নেওয়া তার নবজাতক সন্তানের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। আউট হওয়ার আগে ১৪০ বলে ইমরুল করেন ১৪৪ রান। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে যা যৌথ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।
তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফুরুফুরে মেজাজেই নেমেছিল বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমেই ফুরফুরে ভাবটা অবশ্য খানিক পরই গায়েব। ১৭ রানেই নেই দুই উইকেট।
দিশা হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে ইমরুল পথ দেখানোর কাজটা শুরু করেন প্রথমে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে। মুশফিক অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেননি। ৪৯ রানের জুটিতে ইমরুলই ছিলেন অগ্রণী। পরে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে গড়ে উঠে তার ৭১ রানের আরেক জুটি। সে জুটিতে অবশ্য বেশি আগ্রাসী ছিলেন মিঠুন। ৩৭ রান করা মিঠুনের বিদায়ের পর হুট করে টালমাটাল বাংলাদেশ ইনিংস। ২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট খুইয়ে হতচকিত দলকে ফের ভরসা দিয়েছেন ইমরুলই।
১১৮ বলে ৮ চার আর তিন ছক্কায় সেঞ্চুরি করেন ইমরুল। সেঞ্চুরির পর ব্যাটের ধার বাড়িয়েছেন আরও। ধুন্ধুমার চার-ছয়ে মাতিয়েছেন গ্যালারি। সপ্তম উইকেটে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে নিয়ে গড়েছেন ১২৭ রানের জুটি। ওয়ানডেতে সপ্তম উইকেটে যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১০ সালে সপ্তম উইকেটে নাঈম ইসলামকে নিয়ে ১০১ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম।
এদিন ইমরুলের সামনে ছিল আরেকটি রেকর্ডের হাতছানি। ওয়ানডেতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের থেকে বেশি দূরে ছিলেন না। তবে দলের রান বাড়াতে গিয়েই থেমেছে ইমরুলের ইনিংস। জার্ভিসের বলে উড়াতে গিয়ে পিটার মুরের হাতে জমা পড়েন তিনি। ১৪০ বলে ১৩ চার আর ৬ ছক্কায় ১৪৪ রান করেন ইমরুল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই তামিম ইকবালের ১৫৪ রানের পর যৌথভাবে এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কদিন আগে এশিয়া কাপে আরেকটি ১৪৪ রানের ইনিংস এসেছিল মুশফিকের ব্যাট থেকে।
Comments