গুগল ডুডলে শামসুর রাহমান

সারা পৃথিবী থেকে গুগলডটকমে প্রবেশ করলে আজ (২৩ অক্টোবর) একটি ছবি ভেসে উঠছে সার্চ ইঞ্জিনটির প্রথম পাতায়। সবুজ পাঞ্জাবি পড়া একজন লিখছেন। পেছনে সুবিস্তৃত আকাশে রয়েছে সাদা মেঘের ভেলা। এ ছবিটি স্মরণ করিয়ে দেয় আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিশালী একজন কবিকে। তিনি হলেন শামসুর রাহমান। আজ তার ৮৯তম জন্মবার্ষিকী।
Shamsur Rahman

সারা পৃথিবী থেকে গুগলে প্রবেশ করলে আজ (২৩ অক্টোবর) একটি ছবি ভেসে উঠছে সার্চ ইঞ্জিনটির প্রথম পাতায়। সবুজ পাঞ্জাবি পড়া একজন লিখছেন। পেছনে সুবিস্তৃত আকাশে রয়েছে সাদা মেঘের ভেলা। এ ছবিটি স্মরণ করিয়ে দেয় আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিশালী একজন কবিকে। তিনি হলেন শামসুর রাহমান। আজ তার ৮৯তম জন্মবার্ষিকী।

সাদা চুল, চোখে চশমা, হাতে ঘড়ি- এক হাত গালে দিয়ে আরেক হাতে লিখছেন কবি। ছবিটিতে ক্লিক করলে তা চলে যায় শামসুর রাহমানের সার্চের পাতায়। সামনে এসে পড়ে কবি সম্পর্কে নানা তথ্য।

১৯২৯ সালের এই দিনে শামসুর রাহমান জন্মেছিলেন পুরনো ঢাকার মাহুতটুলিতে। নানাবাড়িতে জন্ম নেওয়া কবির পৈত্রিক বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার পাড়াতলী গ্রামে। তেরো জন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ। ঢাকায় বেড়ে উঠা এই কবির লেখায় উঠে আসে নাগরিক জীবন-কথা।

তার কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে (১৯৬০), রৌদ্র করোটিতে (১৯৬৩), বিধ্বস্ত নীলিমা (১৯৬৭), বন্দী শিবির থেকে (১৯৭২), দুঃসময়ে মুখোমুখি (১৯৭৩), ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাটা (১৯৭৪), এক ধরনের অহংকার (১৯৭৫), আমি অনাহারী (১৯৭৬), বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে (১৯৭৭), ইকারুসের আকাশ (১৯৮২) এবং উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ (১৯৮৩)।

এছাড়াও রয়েছে, যে অন্ধ সুন্দরী কাঁদে (১৯৮৪), অস্ত্রে আমার বিশ্বাস নেই (১৯৮৫), ধুলায় গড়ায় শিরস্ত্রাণ (১৯৮৫), দেশদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে (১৯৮৬), সে এক পরবাসে (১৯৯০), খণ্ডিত গৌরব (১৯৯২), মানব হৃদয়ে নৈবদ্য সাজাই (১৯৯৬), সৌন্দর্য আমার ঘরে (১৯৯৮), ভগ্নস্তূপে গোলাপের হাসি (২০০২), গোরস্থানে কোকিলের করুণ আহবান (২০০৫), না বাস্তব না দুঃস্বপ্ন (২০০৬) ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, বিশিষ্ট ব্যক্তি বা বিশেষ ঘটনাকে স্মরণ করতে সার্চ ইঞ্জিন জায়েন্ট গুগল তাদের প্রথম পাতায় পরিবর্তন আনে। স্কেচের মাধ্যমে তুলে ধরে সে সম্পর্কে নানা তথ্য। তবে স্থানভেদে ভিন্ন হয় তাদের আয়োজন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

7h ago