খাশোগি হত্যার নির্দেশ গিয়েছিল স্কাইপে!

সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করার জন্য স্কাইপে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অতি ঘনিষ্ঠ সৌদ আল-কাহতানি স্কাইপেই খাশোগির সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ানোর পর হত্যা করার নির্দেশ দেন বলে গোয়েন্দা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া ছবিতে জামাল খাশোগিকে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ঢুকতে দেখা যায়। ছবি: রয়টার্স

সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করার জন্য স্কাইপে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অতি ঘনিষ্ঠ সৌদ আল-কাহতানি স্কাইপেই খাশোগির সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ানোর পর হত্যা করার নির্দেশ দেন বলে গোয়েন্দা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

কাহতানির পরিচয় দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে গত তিন বছরে তার ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। তিনিই ক্রাউন প্রিন্সের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্টগুলো পরিচালনা করতেন। যুবরাজের অভিষেকের পর দেশটির বেশ কয়েকজন ধনী ব্যক্তিকে আটক করার পেছনেও তার পরিকল্পনা ছিল। গত বছর লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরিকেও তিনিই গ্রেপ্তার করতে বলেছিলেন। এখন সর্বশেষ জামাল খাশোগি হত্যার সঙ্গে তার নাম জড়ালো।

গত ২ অক্টোবর খাশোগি ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে সেখানে আটক করা হয়েছিল বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সূত্রে জানতে পেরেছে রয়টার্স। আটকের পর কাহতানি স্কাইপের মাধ্যমে সরাসরি ইস্তাম্বুলে কনস্যুলেটের সঙ্গে যুক্ত হন। সেখানে খাশোগির সঙ্গে তার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এর পরই তিনি খাশোগিকে হত্যা করার নির্দেশ দেন।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে শনিবার জানানো হয়, খাশোগি হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠার পর কাহতানি ছাড়াও চার জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন সৌদি বাদশাহ সালমান। তারা এখন পর্যন্ত দৃঢ়ভাবে বলছে, খাশোগির মৃত্যুর সঙ্গে যুবরাজের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা ছিল না।

সৌদি আরবের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, বরখাস্ত করার পর রাজ আদেশে কাহতানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু এর পরও কাহতানি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। ফলে কাহতানি এখন ঠিক কোন অবস্থায় রয়েছেন সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

তুরস্ক ও সৌদি আরবের গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অডিও রেকর্ড এখন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের হাতে রয়েছে। তবে তিনি এই রেকর্ডটি যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে অস্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি নিজেই সত্য ঘটনা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবেন বলে ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন।

সৌদি আরবের সর্বশেষ সরকারি ভাষ্য হচ্ছে, কনস্যুলেটের ভেতরে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন খাশোগি। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

এর পরও অনেক প্রশ্ন রয়েছে যেসবের কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ।

Comments

The Daily Star  | English
Rapidly falling groundwater level raises fear for freshwater crisis, land subsidence; geoscientists decry lack of scientific governance of water

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka dwellers continues to deplete at a dramatic rate and may disappear far below the ground.

11h ago