চাপ তৈরি করে ফেসবুকও!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একে একজন নতুন খেলোয়াড়কে সবচেয়ে চাপে ফেলে কোনটি? এই প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা যেসব কারণ বললেন তার বেশিরভাগই মাঠের বাইরের ব্যাপার। আজকাল খালি দূরহ উইকেট আর বিরূপ পরিবেশই কঠিন প্রতিপক্ষ না। ক্যামেরার আলো, বন্ধু পরিজনদের কথা এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও নাকি চাপের কারণ হয়ে যায় নতুনদের জন্যে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ভুরি ভুরি রান করে আসে ব্যাটসম্যান কিংবা বিধ্বংসী কোন বোলার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এলেই হয়ে যান সাদামাটা, একেবারে নির্বিষ। কেন এমন হয়, তার পেছনে নাকি আছে হুট করে সবার নজরে আসার বিড়ম্বনা।
বাংলাদেশ দলের নতুন মুখ ফজলে মাহমুদ রাব্বির কথাই ধরা যাক। বয়সের কারণেই অভিষেকের আগে থেকে তিনি আলোচিত। তিনি কেমন করেন তা নিয়ে ছিল সবার কৌতুহল । কিন্তু প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়াতেই তাকে শুনতে হচ্ছে নানান কথা। মঙ্গলবার অনুশীলনের ফাঁকে বললেন, এমন অভিষেকের পর তার ফেসবুক আর ইন্সটাগ্রামের ইনবক্স ভরে গেছে সান্ত্বনা বানীতে। এসব বিরক্ত লাগছে বলে আপাতত দুই মাধ্যমই নিষ্ক্রিয় করে রেখেছেন।
রাব্বি হয়ত ইতিবাচক অতি প্রতিক্রিয়াই পাচ্ছেন। কিন্তু সবার কপালে তাও জুটে না। লিটন দাস বা সৌম্য সরকার খারাপ করলে সাম্প্রদায়িক গালাগালও শোনেন। গালি শুনেন তরুণ ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে ভক্তদের এসব আক্রোশ, কুৎসা, নিন্দে চোখ এড়ায় না ক্রিকেটারদেরও।
এসব তো বটেই অধিনায়ক মাশরাফি কারণ হিসেবে দেখছেন হুট করে ক্যামেরার সামনে আসা, ফোকাসে পড়ে যাওয়াকেও।
‘প্রথমত ক্যামেরা। একটা খেলোয়াড় যখন জানে যে টিভিতে খেলাটা দেখা হচ্ছে তখন এমনিতেই চাপ চলে আসে। তারপরে দেশে খেলা হলে একটা ক্রাউড তো থাকেই। আর তো ধরেন আমাদের যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে এগুলো তো পরে একটা (চাপের) ব্যাপার আছে।’
অধিনায়কের মতে চাপ তৈরি হয় সাংবাদিক থেকে, চাপ তৈরি করেন নাকি সতীর্থ এমনকি পরিবারও, ঘরোয়া ক্রিকেটে এতসব না থাকায় খেলোয়াড়রা থাকেন নির্ভার ‘প্রেস আছে, টিম মেট আছে পরিবার আছে। এগুলো তো ঘরোয়া ক্রিকেটে নেই। কেউ হয়তো খোঁজও রাখে না (ঘরোয়া ক্রিকেটের)। এর সঙ্গে ব্যবধান হিউজ। এমনও না যে ১৯-২০। ইভেন ফাস্ট ক্লাসের সঙ্গেও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটের ব্যবধান অনেক বড়।’
Comments