‘রাজনৈতিক মিটিং, মিছিল কি অপরাধ’
সিলেটে আজ (২৪ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় সমাবেশ করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কিছুক্ষণ আগে দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
ড. কামাল গতকাল থেকে সিলেটে অবস্থান করছেন। ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের প্রায় সবাই ইতোমধ্যে সিলেটে এসে পৌঁছেছেন। সমাবেশের আগে সিলেটের পরিস্থিতি কেমন দেখছেন, এ প্রশ্নের উত্তরে টেলিফোনে ড. কামাল হোসেন বলেন, “এ বিষয়টি জানতেই সকাল থেকে গণফোরামের নেতাদের সঙ্গে বসেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন, কয়েক জায়গায় কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু কথা হচ্ছে যে, রাষ্ট্র তো সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের অপরাধ কি? রাজনৈতিক সমাবেশ, মিছিল ও প্রচার কি অপরাধ?”
তিনি আরও বলেন, “কেউ সংবিধান মানছেন না। কিন্তু, সংবিধানের ব্যাপারে আমাদের সবার শ্রদ্ধা থাকা উচিত। পুলিশ যদি বলেও যে, উপর মহলের আদেশেই এসব গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রেও তা আইনসম্মত হতে হবে।”
ড. কামাল আরও বলেন, “আমরা সিলেটে সরকারের সমালোচনা করার জন্য আসিনি। গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কেনো দরকার, সে সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য এসেছি। দেশের সকল নাগরিক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্যও এসব জানা প্রয়োজন। সরকার যদি এসব চর্চা না করে, তাহলে তাদেরই বিপদ।”
এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অপর নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘‘বেধড়ক গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। রাতভর বাসায় বাসায় হানা দিয়ে গ্রেপ্তার করেছে। সমাবেশে আসবে কি না- তা নিয়ে লোকজন ভয় পাচ্ছে। দূরের মানুষ যাতে আসতে না পারে, সেই জন্য শহরে বাস ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তারপরও ভালো সমাবেশের আশা করছি।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘শুনেছি সমাবেশের সময়ই ওই এলাকায় লিফলেট বিলির কর্মসূচী পালন করবে আওয়ামী লীগ। সেক্ষেত্রে তাদের দিক থেকেও বাধা আসতে পারে। কিন্তু সংঘাত এড়ানো যাবে হয়তোবা।’’
আমাদের সিলেট প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নগরীর সবগুলো পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গতরাত থেকেই চলছে র্যাবের টহল। শহরের কেন্দ্রে বাস ও বড় গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
সিলেট মহানগর (উত্তর) পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মাসুম রেজা বলেন, “সমাবেশকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে দেওয়া ১৪টি শর্তের ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক থাকবে পুলিশ।”
এদিকে সিলেট নগরী থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার। তিনি বলেন, “নাশকতা ও ভাঙচুরের পুরনো মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদেরকেই কেবল গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
Comments