ম্যাচ সেরা হওয়ায় সাইফুদ্দিন নিজেও অবাক

MOhammad Saifuddin
উইকেট পেয়ে সাইফুদ্দিনের উল্লাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

জিম্বাবুয়েকে ২৪৬ রানে আটকে রাখতে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের অবদান যথেষ্টই। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বল করে তিন উইকেট নিয়েছেন। ব্যাটসম্যানদের ক্রিজে বেধে রাখার কাজটাও করেছেন দারুণভাবে। তবে রান তাড়ায় জিম্বাবুয়েকে গুড়িয়ে দেওয়ার মতো ব্যাট করেছেন দুই ওপেনার লিটন দাস আর ইমরুল কায়েস। এদের ছাপিয়ে ম্যাচ সেরা হওয়ায় সাইফুদ্দিন নিজেও বেশ অবাক।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল করতে এসেছিলেন। শুরুতেই হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে আউট করে এনে দেন ব্রেক থ্রো। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে আউট করেন শেন উইলিয়ামসকে। শেষে পকেটে পুরেছেন এল্টন চিকুম্বুরার উইকেটও। অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা ইনিংসের শেষ ওভারসহ তাকে দিয়ে করিয়েছেন পুরো ১০ ওভার। তাতে ৪৫ রান খরচায় তার ৩ উইকেট।

তবু এই পারফরম্যান্সই হয়ত ম্যাচ সেরা হওয়ার জন্যে যথেষ্ট ছিল না। রান তাড়ায় দুই ওপেনারই যে তুলে ফেলেন ১৪৮ রান। সেঞ্চুরি পেতে পারতেন দুজনেই। ৮৩ রান করে আউট হন লিটন দাস, ৯০ রানে গিয়ে থামেন ইমরুল।

ভেবেছিলেন এই দুজনের কেউই হয়ত ম্যাচ সেরা হবেন। কিন্তু ঘোষণায় নিজের নাম শুনে কিছুটা অবাক হন তিনি, ‘আসলে চেষ্টা ছিল দলের জন্য কিছু দিব। ম্যান অব দ্য ম্যাচ ভাবনায় ছিল না। নাম শুনে (ম্যাচ সেরায়) কিছুটা অবাক হয়েছি। কিন্তু দল জিতছে এটাই খুশি।’

চট্টগ্রামের উইকেট থেকে ব্যাটসম্যানরা পাচ্ছিলেন বাড়তি সুবিধা। কিন্তু শেষ ৫ ওভার থেকে জিম্বাবুয়ে নিতে পারে মাত্র ১৯ রান। দারুণ বল করে সেসময় অবদান রাখেন সাইফুদ্দিন। ম্যাচ শেষে বললেন শেষ দিকে বল করায় তার লক্ষ্য ছিল মোস্তাফিজকে সহায়তা করা, ‘উইকেট অনেক ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি। মাথায় ছিল ২৫০ এর আগে থামাব। মোস্তাফিজ খুব ভাল বোলিং করে, পাশাপাশি আরেকটা (আরেকজনের ভাল করা) দরকার ছিল। আমি ওই কাজটাই করেছি যাতে মোস্তাফিজকে সাপোর্ট দেয়া যায়। যেন ওভারে ৫, ৭ রান দিতে পারি এমন লক্ষ্য ছিল।’

 

 

Comments

The Daily Star  | English
bangladesh bank buys dollar

BB buys $313m more from 22 banks

Bangladesh Bank purchased another $313 million from 22 commercial banks in an auction yesterday, reacting to the sharp drop in the US dollar rate.

6h ago