জাতীয় সরকারের ষড় ‘ক’

বুধবার (৩ আগস্ট) গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, সকলের কাছে ‘গ্রহণযোগ্য’ একটি নির্বাচনের মাধ্যমে এমন একটি জনগণের পার্লামেন্ট ও সরকার গঠন করা হবে; যারা সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে। এরপর ‘রাষ্ট্র মেরামতের জন্য’ সবাইকে নিয়ে একটি ‘জাতীয় সরকার’ গঠন করা হবে।

বুধবার (৩ আগস্ট) গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, সকলের কাছে 'গ্রহণযোগ্য' একটি নির্বাচনের মাধ্যমে এমন একটি জনগণের পার্লামেন্ট ও সরকার গঠন করা হবে; যারা সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে। এরপর 'রাষ্ট্র মেরামতের জন্য' সবাইকে নিয়ে একটি 'জাতীয় সরকার' গঠন করা হবে।

এখন প্রশ্ন হলো, এই সরকারের ষড় 'ক' মানে ছয়টি 'ক' কী কী?

ষড় 'ক' মূলত সাংবাদিকতার একটি পরিভাষা। কোনো একটি সংবাদ পূর্ণাঙ্গ হতে গেলে সেখানে ছয়টি 'ক'-এর উত্তর থাকতে হয়। যেমন: কী, কে, কখন, কোথায়, কেন, কীভাবে? অর্থাৎ ঘটনাটি কী, ঘটনার সঙ্গে কে কে যুক্ত, কখন ঘটলো, কোথায় ঘটলো, কেন এবং কীভাবে ঘটলো?

জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গেও যেসব প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার তা হলো:

১. জাতীয় সরকার কী?
২. কাকে/কাদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে?
৩. জাতীয় সরকার কখন গঠন করা হবে? দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে না পরে?
৪. সরকার গঠন হবে কোথায়, সংসদে?
৫. কেন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে?
৬. এই সরকার কীভাবে বা কোন প্রক্রিয়ায় গঠন করা হবে এবং তারা কীভাবে কাজ করবেন? তাদের কাজের এখতিয়ারগুলো কী হবে?

এর সঙ্গে আরও দুটি প্রশ্ন যুক্ত হবে:

১. জাতীয় সরকার ইস্যুতে বাংলাদেশের সংবিধান কী বলছে? অর্থাৎ বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে কি এই ধরনের সরকার গঠন করা সম্ভব? যদি সম্ভব না হয় তাহলে কি সংবিধান সংশোধন করা হবে?

২. সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছিল এবং এখন বিএনপিসহ বিরোধী পক্ষ যে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানাচ্ছে, তার সঙ্গে জাতীয় সরকারের পার্থক্য কী?

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৯ মাসের মাথায় ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গণফোরামের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে যে তিনটি দাবি তুলে ধরা হয়, তার অন্যতম ছিল বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং এরপর জাতীয় সরকার ঘোষণা করা। এর কয়েক দিন পরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবও 'জাতীয় সরকার' গঠনের দাবি জানান। তার ভাষায় বিদ্যমান 'অবৈধ' সরকারের পদত্যাগের পর সাংবিধানিক শূন্যতা ও সংকট পূরণ করবে 'জাতীয় সরকার'—যা গঠন করা হবে রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সমাজ ও বুদ্ধিজীবী শক্তিগুলোর সংলাপের মাধ্যমে (বাংলা ট্রিবিউন, ১ নভেম্বর ২০২১)।

গত বছরের অক্টোবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গণঅধিকার পরিষদ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন ড. রেজা কিবরিয়া। দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন। তার আগের মাসে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ কয়েকজনের নামও প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় সরকার নয়। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ রেহেনা, তার ছেলে (রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি), তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, বিএনপির যারা আছে তাদের নিয়ে আর আমরা সাধারণ মানুষ যারা আছি তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার করুন।'

তখন এই প্রশ্ন উঠেছিল যে, ডা. জাফরুল্লাহ 'সাধারণ মানুষকে' নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা কতখানি বাস্তবসম্মত? তিনি সাধারণ মানুষ বলতে কি সুশীল সমাজকে বুঝিয়েছেন, যাদের নিয়ে অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল?

দ্বিতীয়ত, এই সরকার গঠন করা হবে কখন, নির্বাচনের আগে না পরে? নির্বাচনের আগে হলে সেটি নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে যেটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামে পরিচিত ছিল। হাইকোর্টের রায়ের আলোকে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে বিধানটি বাতিল করা হয়েছে।

নির্বাচনের আগে এ ধরনের সরকার গঠন করতে হলে সেখানে রাজনৈতিক ঐকমত্য লাগবে। সংবিধান সংশোধন করতে হবে। আর যদি সংবিধান সংশোধন করা না হয়, তাহলে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর মধ্য থেকে বাছাই করে কিছু লোককে নিয়ে একটি ছোট আকারের মন্ত্রিসভা গঠন করা যেতে পারে—যার ইঙ্গিত সংবিধানে আছে। আর এই সরকারের মূল কাজ হবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করা।

যে প্রশ্নটি বারবার সামনে আসছে তা হলো, ওই অন্তর্বর্তী কিংবা নির্বাচনকালীন অথবা জাতীয় সরকারের প্রধান বা প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? বিএনপি তথা বিরোধী পক্ষের মূল দাবি, প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কেউ। কিন্তু সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কি শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কাউকে ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেবে? সহজ উত্তর হলো, না। তার মানে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন এমন কোনো জাতীয় সরকার গঠনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ—যার প্রধান হবেন শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কেউ।

জাতীয় সরকার কী ও কখন গঠন করা হয়?

জাতীয় সরকারের সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা ও রূপরেখা না থাকলেও বৃহত্তর রাজনৈতিক আন্দোলন ও জনদাবির মুখে, দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বহাল রাখার স্বার্থে এরকম একটি সরকার গঠন করা যেতে পারে। অনেক সময় মহামান্য রাষ্ট্রপতিও জরুরি অবস্থা জারির মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে পারেন যদি দেশ কোনো ক্রান্তিকাল বা সংকটময় মুহূর্ত অতিবাহিত করে। অর্থাৎ কোনো একটি দেশে যখন চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা চলে, অর্থনৈতিক সংকট চরমে পৌঁছায়, যখন বিদ্যমান সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়, তখন সবাই মিলে পরিস্থিতি সামাল দিতে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী এবং সাংবিধানিকভাবে সুযোগ থাকলে সংসদের বাইরে থাকা দল এবং বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্য থেকে কাউকে নিয়ে একটি বিশেষ ধরনের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা যায়।

গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। চরম অর্থনৈতিক দুর্দশা, মূল্যবৃদ্ধির আগুন, জ্বালানি সংকটসহ নানা কারণে দেশটির মানুষ রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করে। সরকারের পতন ঘটে। যদিও শেষ পর্যন্ত জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বানকারী প্রেসিডেন্ট নিজেও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে এখন কি সেরকম কোনো ভয়াবহ রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সংকট কিংবা সাংবিধানিক শূন্যতা চলছে যে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে? যে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ১৯৯৬ সালে সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান যুক্ত করা হয়েছিল, সেই পরিস্থিতি কি এখন বিদ্যমান আছে বা সে রকম পরিস্থিতি হলে কি জাতীয় সরকার গঠন করা হবে নাকি সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন করা হবে? সেরকম কোনো সম্ভাবনা কি এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে?

বিএনপি অবশ্য স্পষ্টত বলছে যে, তারা জাতীয় সরকার গঠন করবে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তারা যদি সরকার গঠন করতে পারে, তাহলে। গত ৩০ মার্চ বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, তারা ক্ষমতায় এলে আন্দোলনে যারা মাঠে থাকবে তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। তবে তার আগে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।

জার্মানির গণমাধ্যম ডয়েচেভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। ওই নির্বাচনে যারা জিতবে তাদের সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। তবে যেসব গণতান্ত্রিক শক্তি আন্দোলনে থাকবে, তারা নির্বাচনে না জিতলেও সরকারে রাখা হবে। তিনি নির্বাচনের পর জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বলেন, জাতির প্রত্যাশা পুরণ করতে হলে জাতীয় সরকার প্রয়োজন হবে। অনেক ধরনের সংস্কার প্রয়োজন হবে। অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেটা সব গণতান্ত্রিক শক্তি মিলে নিতে হবে (ডয়েচেভেলে, ৩০  মার্চ ২০২২)।

সবশেষ বুধবার (৩ আগস্ট) দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও 'রাষ্ট্রের মেরামত'-এর জন্য জাতীয় সরকার গঠন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন। এই শব্দটি বেশ আলোচিত হয়েছিল ২০১৮ সালে সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলনের সময়ে। তখন আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বিক্ষোভের সময় যেসব ফেস্টুন প্রদর্শন করেছিলেন, সেখানে একটি ছিল এরকম: 'রাষ্ট্রের মেরামত চলছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত।'

তার মানে বিএনপির এই জাতীয় সরকার গঠনের পূর্ব শর্ত হচ্ছে তাদের ক্ষমতায় আসা। তারা মনে করে বা বিশ্বাস করে যে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলেই তারা ক্ষমতায় আসবে। আর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে—যে ধরনের সরকার গঠনের সুযোগ বিদ্যমান সংবিধানে নেই। এটা করতে হলে আগে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।

ক্ষমতায় গেলে তারা জাতীয় সরকার গঠন করতে চায় রাষ্ট্রের মেরামতের জন্য। অর্থাৎ রাষ্ট্রের যেসব জায়গায় ক্ষত হয়েছে, সেসব ক্ষত সারানোর জন্য তারা সরকারবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত এবং সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সমমনা দলগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করবে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে মহাজোট সরকার গঠন করা হয়েছিল, সেখানেও আওয়ামী লীগের শরিক দলগুলোর (জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, সাম্যবাদী দল) প্রতিনিধিদেরকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে এটি ঠিক জাতীয় সরকার ছিল না।

কিন্তু বিএনপি এখন জাতীয় সরকার বলতে যা বুঝাতে চাইছে সেটি হয়তো এরকম যে, তারা সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সমমনা দলগুলোর প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে সরকার গঠন করবে এবং সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৬ (২) অনুচ্ছেদের আলোকে মন্ত্রিসভায় যে এক দশমাংশ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী রাখার সুযোগ আছে, সেখানে হয়তো তারা নির্বাচিত এমপি নন, এমন লোকদেরকেও যুক্ত রাখবেন। অর্থাৎ ৪০ সদস্যের মন্ত্রিসভা হলে সেখানে সর্বোচ্চ চার জনকে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী করা যাবে। আর যদি এই সংখ্যা বাড়াতে হয় তাহলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সংবিধান সংশোধন করতে হলে সংসদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোট লাগবে।
.
তার মানে বিএনপি যে ধরনের জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলছে, বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে সেই ধরনের সরকার গঠন করা খুবই কঠিন। তবে যদি বিএনপির ভাষ্য অনুযায়ী নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়; যদি বিএনপি যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয় এবং তার সমমনা দলগুলো থেকে  অন্তত একজন করে প্রার্থী জয়ী হন, তাহলেই কেবল এই ধরনের জাতীয় সরকার গঠন করা সম্ভব।

সর্বোপরী, রাষ্ট্র মেরামতের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করতে হলে বিএনপিকে আগে নির্বাচনে আসতে হবে এবং সরকার গঠনের মতো আসন পেতে হবে। সেই সঙ্গে এ মুহূর্তে তাদের সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তা হলো, নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের মতো আসন পেলেও তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? আইনত ফৌজদারি মামলায় দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য। সুতরাং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমান—কেউই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তাহলে বিএনপি সরকার গঠন করলে সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর? তারও চেয়ে বড় প্রশ্ন, যে ধরনের সরকারের অধীনে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো নির্বাচন চায়, সেই ধরনের নির্দলীয় সরকার গঠন আদৌ হবে কি না? কারণ এই ধরনের সরকার গঠন করতে হলে আগে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।   

 

লেখক: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন।

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

 

Comments

The Daily Star  | English

Secondary schools, colleges to open from Sunday amid heatwave

The government today decided to reopen secondary schools, colleges, madrasas, and technical education institutions and asked the authorities concerned to resume regular classes and activities in those institutes from Sunday amid the ongoing heatwave

44m ago