ডিজিটাল রূপান্তর বয়ে আনবে সবুজ প্রবৃদ্ধি

শিল্প বিপ্লবের শুরু থেকেই একটি সমাজ বা জাতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য মূল্য দিতে হয়েছে পরিবেশকে। তখন প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করার কথা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হয়নি। সেইসময়ে মানুষ অনেকটাই দরিদ্র ছিল। মৌলিক অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং বিপুল জনগোষ্ঠীকে ধীরে ধীরে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে ব্যবহার করার জন্য কেবল ছিল সীমিত পুঁজি, প্রযুক্তি, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং নূন্যতম প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা।

আমাদের পূর্বপুরুষদের অবশ্য এরচেয়ে বেশি কিছু করার সুযোগও ছিল না। আজ তাই তাদের দোষারোপ করার কোনো মানে নেই। আমরা এখন জানি যে প্রাকশিল্প যুগের বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রার চেয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কার্বন নিঃসরণ সীমিত করতে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে সবুজ প্রবৃদ্ধির চর্চায়।

কয়লা, তেল ও গ্যাসের উল্লেখযোগ্য ব্যবহারের কারণে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ জন্য বিদ্যুৎখাত সর্বাধিক মনোযোগ আকর্ষণ করছে। কার্বন নিঃসরণের দৃষ্টিকোণ থেকে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো উৎপাদন, পরিবহন ও কৃষি খাত।

সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন এখনও অনেক কম। তাই আমাদের বিদ্যুৎ গ্রিডের একটি উল্লেখযোগ্য অংশে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আরও অনেক বছর ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকেই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ধীরে ধীরে বাজারে আসছে। কিন্তু চার্জিং স্টেশন ও বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য সহায়ক নীতির অভাব প্রচলিত জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহনের রাজত্বকেই দীর্ঘায়িত করছে এবং এর ফলে পরিবেশগত ক্ষতি হচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো কৃষি ব্যবস্থা খরা প্রবণ এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ক্রমান্বয়ে খরা ও লবণাক্ততা প্রতিরোধী শস্যের জাত প্রবর্তনে সাহায্য করবে। কিন্তু ধান চাষের বিস্তীর্ণ এলাকায় উৎপন্ন হতেই থাকবে ক্ষতিকারক মিথেন, যা গ্রিন হাউজ গ্যাস হিসেবে কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায় ৮০ গুণ বেশি ক্ষতিকর।

তবে এখনই সব শেষ হয়ে যায়নি। বড় কোম্পানিগুলো তাদের 'কার্বন ফুটপ্রিন্ট' সম্পর্কে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। তারা এখন ধীরে ধীরে পরিবেশবান্ধব উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে। তবে এই আশা তৈরির সঙ্গে সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যে, উল্লেখযোগ্য প্রভাব কেবল দীর্ঘ মেয়াদে বোঝা যাবে। আর পর্যাপ্ত উদ্যোগ খুব দ্রুত নিতে না পারলে লক্ষ্য পূরণ হবে না।

একটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে পরিবেশবান্ধব করার জন্য পরোক্ষ বা 'স্কোপ থ্রি' কার্বন নিঃসরণ কমানোতে গুরুত্ব দিতে হবে, যা এর মোট কার্বন নিঃসরণের ৯০-৯৫ শতাংশের বেশি। সাধারণ পরিভাষায়, স্কোপ থ্রি নিঃসরণের মধ্যে একটি করপোরেশনের 'আপস্ট্রিম' এবং 'ডাউনস্ট্রিম' ভ্যালু চেইন (যেমন: সরবরাহকারী, পরিবেশক ইত্যাদি), ব্যবসায়িক ভ্রমণ, লিজ নেওয়া সম্পদ এবং ঋণের এক্সপোজার অন্তর্ভুক্ত।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো তাদের কার্যালয়গুলো থেকে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করে, এর থেকে ৭০০ গুণ বেশি নিঃসরণ হয় তাদের দেওয়া ঋণ থেকে। আয় এবং পৃথিবীর মধ্যে ভারসাম্য রাখতে গিয়ে কয়েকটি ব্যাংক একটি পরিবেশবান্ধব পোর্টফোলিও বেছে নিবে। তবে বর্তমানের বড় গ্রাহকদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক থাকার কারণে এর বাস্তবায়ন করাটা হবে একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া।

চিন্তাশীল নেতৃত্ব, গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড এবং একটি অনুকূল অর্থনৈতিক পরিবেশের সহায়তায় পরিবেশবান্ধব পোর্টফোলিও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে যেসব ব্যাংক করপোরেট গ্রাহকদের জন্য একটি টেকসই এবং সবুজ অর্থায়নকে অগ্রাধিকার দেয়, তারা এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসবে।

যেসব ব্যাংকের বেশি সংখ্যক রিটেইল এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজের গ্রাহক আছে, তারা সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের মতো ক্ষেত্রগুলোতে পরিবেশবান্ধব বা টেকসই ঋণ দিতে পারে। তবে এর সরবরাহ ও চাহিদা দুটোই কম থাকায় আমরা প্রায় কোনো প্রভাব দেখছি না।

আমরা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ভোগ্যপণ্যগুলোকেও (হাইব্রিড যানবাহন, ইনভারর্টার কন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর, ইন্ডাকশন চুলা ইত্যাদি) অগ্রাধিকারমূলক ঋণের হারের আওতায় আনতে পারি। তবে এই ঋণ নেওয়ার হার সত্যিই কম; সম্ভবত উচ্চ খরচ, নতুন প্রযুক্তিতে আস্থার অভাব এবং সচেতনতার অভাবের কারণে।

গ্রাহক সন্তুষ্টি বাড়ানো, রাজস্ব বাড়ানো এবং গ্রাহকদের ব্যাংকের শাখায় না এনে তাদের বাড়িতে বা অফিসেই সেবা দেওয়ায় গ্রাহককেন্দ্রিক ডিজিটাল রূপান্তরের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, যদি তা বৃহৎ পরিসরে করা হয়।

এই লেখার উদ্দেশ্য আমাদের ডিজিটাল রূপান্তর, বিশেষ করে 'আস্থা' মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন আমাদের ও সমাজের জন্য কী এনেছে তা জানানো।

রিটেইল ও এসএমই গ্রাহকদের জন্য আমরা এই গ্রাহকবান্ধব অ্যাপটি চালু করেছি দুই বছরের কিছু বেশি সময় আগে। এটি প্রায় চার লাখ গ্রাহককে আকৃষ্ট করেছে, যাদের বেশিরভাগই এই অ্যাপের মাধ্যমে তাদের প্রতিদিনের লেনদেন করেন। ৯০ শতাংশের বেশি লেনদেন এখন বিকল্প বা ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে হয়।

ডিজিটাল প্রযুক্তি আরও টেকসই হওয়ায় এবং ছড়িয়ে পড়ায় ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করা গ্রাহকরা আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার জন্য হাতে সময় ও সুযোগ পাচ্ছেন। ব্যাংক কর্মীরাও গ্রাহকের চাহিদা বুঝতে গ্রাহক সম্পর্কের ওপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া এবং তাদের আরও ভালোভাবে সেবা দেওয়ার জন্য সময় পাচ্ছেন।

ব্যাংকের কোনো শাখায় গ্রাহকের আসা-যাওয়া করা মানে তার সময়, জ্বালানি, শ্রম ইত্যাদি খরচ হওয়া। ঢাকার যানজট বিবেচনা করলে কোনো গ্রাহকের ব্যাংকে আসা-যাওয়ায় অন্তত দুই ঘণ্টা সময়ের পাশাপাশি দুই লিটার জ্বালানিও খরচ হয়—এটা বলাটা বাহুল্য হবে না।

২০২৩ সালের আগস্টে আমরা ১৪ লাখেরও বেশি ট্রানজেকশনে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন করেছি, যা দেশের মোট ইন্টারনেট ব্যাংকিং লেনদেনের ১০ শতাংশেরও বেশি। আরও কয়েকটি ব্যাংক একইভাবে ডিজিটাল রূপান্তর এবং অ্যাপে বিনিয়োগ করছে। তবে বাংলাদেশের অন্যান্য অনেক ব্যাংক এখনও ডিজিটাল লেনদেনে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি তৈরি করতে পারেনি।

আমরা ব্যাংক ও গ্রাহকদের জন্য ডিজিটাল চ্যানেলগুলোর এত সুবিধা দেখতে পাচ্ছি যে, এখন পেছনে ফিরে যাওয়া যাবে না। আমরা ডিজিটাল চ্যানেলগুলোর উন্নতি করতে, বিনিয়োগ করতে এবং গ্রাহকদের ডিজিটাল চ্যানেলগুলোতে স্থানান্তরিত করার জন্য উৎসাহিত করতে থাকব।

গ্রাহককেন্দ্রিক ডিজিটাল রূপান্তরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো পরিবেশগত সুবিধা—ব্যাংকের শাখায় না এসে জ্বালানি বাঁচানো, বাড়তি ভবন তৈরি করতে না হওয়া, কাগজ ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় ইত্যাদি। ডিজিটাল রূপান্তরের ইতিবাচক পরিবেশগত প্রভাব পরিমাপ করা সহজ না হলেও আমাদের আস্থা অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতি মাসে এক মিলিয়ন লিটার জ্বালানি সাশ্রয় হতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি (ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের জন্য গ্রাহকদের ব্যাংকের শাখায় আসা প্রতি মাসে প্রায় পাঁচ লাখ বার কম হবে। আর প্রতিবারে দুই লিটার করে জ্বালানি সাশ্রয় হবে)। এভাবে ব্যাংকের শাখায় না এসে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করায় বাংলাদেশে ব্যাংকগুলোর ডিজিটাল রূপান্তরের প্রচেষ্টায় প্রতি মাসে অন্তত ১০ মিলিয়ন লিটার জ্বালানি সাশ্রয় হতে পারে।

ডিজিটালভাবে প্রায় কোনো সময় না নিয়ে এবং কোনো খরচ ছাড়াই গ্রাহকদের সেবা দিয়ে বাড়তি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এটি সবুজ প্রবৃদ্ধি—আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি সেবা, পৌরসভা, ইউটিলিটি পরিষেবা, স্কুল ও কলেজগুলো নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান এবং জাতির জন্য সবুজ প্রবৃদ্ধি আনতে ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ পরিষেবা দিতে পারে।

করোনা মহামারি চলার সময় ব্যবহার করা 'সুরক্ষা' ডিজিটাল অ্যাপ একটি দুর্দান্ত উদাহরণ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ কয়েক মাসে সন্তোষজনক পর্যায়ে টিকা দিতে পেরেছে এবং খুব কম প্রাণহানি হয়েছে। এই ধরনের একটি ডিজিটাল অ্যাপ ছাড়া, কে জানত যে কখন ও কোথায় যেতে হবে টিকা নিতে! 'সুরক্ষা' ডিজিটাল অ্যাপ না থাকলে যে কী পরিমাণ বিশৃঙ্খলা এবং বিভ্রান্তি, হাসপাতালে গিয়ে ফেরত আসা এবং এর ফলে উৎপাদনশীলতার হারানোর ঘটনা দেখা দিত, কে জানে।

ডিজিটাল মানসিকতা, সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং উপকার করার সংকল্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ সাফল্যের সঙ্গে এই শতাব্দীতে আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যার সমাধান করেছে। অন্যান্য উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে, অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ইকেওয়াইসি, উদীয়মান ডিজিটাল ঋণদানের অ্যাপ, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ইলেকট্রনিক স্টেটমেন্ট, ইলেকট্রনিক ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া, বাসের টিকিট, ট্রেন ও উড়োজাহাজে ভ্রমণ এবং ইলেকট্রনিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইউটিলিটি পেমেন্ট। সামগ্রিক প্রবণতা ইতিবাচক, তবে ডিজিটাল রূপান্তরের মাত্রা সব জায়গায় সমান নয়।

ডিজিটাল রূপান্তর কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য নয়, সবুজ প্রবৃদ্ধির জন্যও একটি শক্তি। আর নতুন অবকাঠামো এবং কোনো ব্যবসায় বিনিয়োগের তুলনায় ডিজিটাল রূপান্তরে বিনিয়োগ করলে রিটার্ন অনেক বেশি ও দ্রুত আসে। যদিও কিছু রূপান্তর স্বাভাবিকভাবেই ঘটবে, তবে চাহিদা ও সরবরাহ চালিত রূপান্তর অনেক বিস্তৃত পরিসরে সামাজিক সুবিধা আনতে সাহায্য করবে।

ঠিক এখানেই সরকারের ভূমিকার কথা আসবে। আইনের উপযুক্ত প্রয়োগ অথবা শিথিলতা, প্রণোদনা, পুরস্কার ও তিরস্কারের মাধ্যমে সরকার সব সরকারি সেবা এবং বৃহৎ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানে সব সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই রূপান্তর যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে পারে।

একটি বৃহৎ জনসংখ্যার জন্য ডিজিটাল রূপান্তরের প্রতিটি আলোচনায় স্মার্টফোন ব্যবহার এবং ইন্টারনেট সংযোগের বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও এখনও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, তবে সবকিছু সঠিক পথেই এগুচ্ছে। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট উভয়েরই ব্যবহার আয় বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে৷

কাগজভিত্তিক প্রক্রিয়াগুলোকে কার্যকর ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য সম্পদ, বিনিয়োগ ও ক্রমাগত প্রচেষ্টা লাগে। এটি স্বল্প মেয়াদের কোনো প্রকল্প নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা। আবার, সাফল্যের সূত্রটি বের করতে অনেক প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয়—মানবকেন্দ্রিক নকশা, উপযুক্ত প্রযুক্তিগত অবকাঠামো, বিভিন্ন পর্যায়ে অবকাঠামো, সাইবার হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষা এবং সব সময় গ্রাহকদের জন্য প্রণোদনা। এ জন্যই হয়তো অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বড় ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান পুরোদমে চেষ্টা করতে পারছে না।

ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে সবুজ প্রবৃদ্ধিকে যদি গতানুগতিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের আরও শক্তি, বিনিয়োগ, উদ্দীপনা, প্রণোদনা, সচেতনতা এবং সব পাবলিক সার্ভিস কোম্পানির বোর্ড এবং ব্যবস্থাপনা থেকে সহায়তা পাওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। করোনা মহামারি একটি দুর্দান্ত চালিকা শক্তি ছিল, যা ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে আমাদের মনোযোগ এনে দিয়েছে। এখন আমরা যদি এই যাত্রার গতি কমিয়ে দেই বা এটাকে আর গুরুত্ব না দেই, তবে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক।

অনিশ্চয়তা, অর্থনৈতিক মন্দা এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার এই সময়ে ব্যবসাগুলো কম জটিল উদ্যোগগুলোতে বিনিয়োগ করতে চায়। ডিজিটাল রূপান্তর এই সময়টায় সবচেয়ে বেশি রিটার্ন এনে দেবে। এসডিজি লক্ষ্যে বাস্তবায়ন করার জন্য সম্ভাব্য সবক্ষেত্রে সবুজ প্রবৃদ্ধির সুযোগ সামনে আনতে আমাদের যথাসাধ্য করতে হবে এবং তা করতে সরকার ও সব নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

 

এম সাব্বির হোসেন ব্র্যাক ব্যাংকের ডিএমডি এবং সিওও। তিনি হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট থেকে এক্সিকিউটিভ সার্টিফিকেশন সম্পন্ন করেছেন।

 

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments