ভোট দেননি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ

সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেননি বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সাদিক এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি বরিশালে ভোট দিতে আসেননি।

দলীয় নেতারা জানান, গত ২৬ মে প্রচারণা শুরুর পর থেকে বরিশালের বাইরে অবস্থান করছেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আমিন উদ্দিন মোহন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দলীয় শীর্ষ পর্যায় থেকে সাদিককে নির্বাচনের আগে বরিশালে না আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'

'শুধু সাদিকই নয়, তার অনুসারীদেরও আজ ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে দেখা যায়নি,' বলেন তিনি।

বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান সাদিক আবদুল্লাহর চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত।

মনোনয়ন নিয়ে শুরু থেকেই চাচা-ভাতিজার মধ্যে বিভেদ চলছিল। এই সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বহুমুখী তৎপরতা চালালেও তা অমীমাংসিতই থেকে যায়। সাদিক ও তার বাবা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর অনুসারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শুরু থেকে প্রচার প্রচারণা থেকে দূরে ছিলেন। খায়ের আবদুল্লাহ তার বিশ্বস্ত নেতা-কর্মীদের নিয়ে পুরো নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন।

খায়ের আবদুল্লাহর বড় ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশাল-১ (গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া) আসনের সংসদ সদস্য। তিনি তার নির্বাচনী এলাকার ভোটার।

অন্যদিকে সাদিক বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভোটার, তার ভোট কেন্দ্র বরিশাল সরকারি কলেজ।

এর আগে, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাদিক ভোট দেবেন কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়ের আবদুল্লাহ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরকারি বরিশাল কলেজ ভোট কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, 'আমি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।'

আগের দিন খায়ের আবদুল্লাহকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে তার ভাই হাসানাত আবদুল্লাহ এবং ভাতিজা সাদিক নির্বাচনে তার পাশে থাকবেন কি না, জবাবে তিনি বলেছিলেন, 'দুঃখিত, এই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।'

Comments

The Daily Star  | English
Domestic violence killing women in Bangladesh

Domestic violence in Bangladesh: When numbers speak of the silence

When we are informed that 133 women have been killed by their husbands in seven months, it is no longer just a number.

7h ago