এবার ঝড়ো ফিফটি করে ম্যাচ সেরা সাকিব
সিপিএল খেলতে গিয়ে প্রথম দুই ম্যাচেই গোল্ডেন ডাক পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর থেকেই জ্বলে উঠেছে তার ব্যাট। আগের ম্যাচে ৩৫ রান ও ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হওয়ার পর এবার বল হাতে ১ উইকেট নেওয়ার পর ঝড়ো ফিফটি করে আলো কেড়েছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বারবাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে ১২ রানে ১ উইকেট আর ৩০ বলে ৫৩ রান করেন সাকিব। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে গায়ানা জিতেছে ৫ উইকেটে।
স্থানীয় সময় রোববার রাত ও বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে শুরু হওয়া ম্যাচ ছিল অনেকটা একপেশে। রোমারিও শেফার্ড, কেমো পলদের তোপে মাত্র ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় বারবাডোজ। জবাবে ৩৩ বল আগেই ম্যাচ শেষ করে দেয় গায়ানা। যাতে বড় অবদানই সাকিবের। চার নম্বরে খেলতে নেমে ৫ চার, ৩ ছক্কায় তিনি করেন ৫৩।
এদিন টস জিতে আগে ফিল্ডিং বেছে বারবাডোজকে চেপে ধরে গায়ানা। ৬০ রানেই ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল তাদের। জেসন হোল্ডার (৩৯ বলে ৪২) ছাড়া আর কেউই দলকে টানতে পারেননি।
সাকিব বল হাতে পান পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে। হোল্ডারের হাতে এক ছক্কা খেয়ে ওই ওভারে দেন ৯ রান। ৮ম ওভারে এসে দারুণ পুষিয়ে নেন তিনি। তার ওভার থেকে আসে স্রেফ ৩ রান। এরপর আর ১৮তম ওভারে বল করতে আনা হয় সাকিবকে, ততক্ষণে বারবাডোজের ইনিংস একদম অন্তিমে। ওই ওভারে প্রথম দুই বল ডট করে তৃতীয় বলে শেষ ব্যাটার মুজিব উর রহমানকে আউট করে ইনিংস মুড়ে দেন সাকিব।
১২৬ রান তাড়ায় শুরুতেই চন্দরপল হেমরাজকে হারায় গায়ানা। তিনে নামা শেই হোপ ১১ বলে ১৬ করে বিদায় নিলে চতুর্থ ওভারে ক্রিজে আসেন সাকিব।
মুখোমুখি তৃতীয় বলেই পেয়ে যান বাউন্ডারি। সাকিবকে ফেরাতে মুজিবকে এনেছিলেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক। এই অফ স্পিনারকেও সাকিব মারেন বাউন্ডারি ওবেদ ম্যাককয়কে উড়ান চার-ছয়ে।
রেমন্ড সাইমন্ডসকেও টানা দুই বলে চার-ছয় মারেন বাংলাদেশের তারকা মাত্র ২৭ বলে সাকিব স্পর্শ করে ফেলেন ফিফটি। এরপরই ম্যাককয়ের বলে নাজিবুল্লাহ জাদরানের হাতে ধরা দিয়ে ফেরেন তিনি।
তবে ম্যাচ তখন চলে আসে গায়ানার একদম মুঠোয়। বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারতে সমস্যা হয়নি রাহমানুল্লাহ গুরবাজের।
Comments