স্মিথের ঝলকের পর স্টার্কের আগুনে পুড়ল ইংল্যান্ড
আগের ম্যাচের ছন্দ ধরে রাখলেন স্টিভেন স্মিথ। সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে যদিও পুড়লেন আক্ষেপে। মারনাশ লাবুশানে, মিচেল মার্শও পেলেন দুই ফিফটি। তাতে জুতসই পুঁজি পাওয়া অস্ট্রেলিয়াকে মিচেল স্টার্ক। এই পেসারের ঝাঁজের সঙ্গে জস হ্যাজেলউড, অ্যাডাম জাম্পারাও অবদান রাখলে লড়াই জমাতে পারেনি ইংল্যান্ড।
শনিবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ইংল্যান্ডকে ৭২ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই জিতে নিয়েছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। আগে ব্যাট করে স্মিথের ৯৪, লাবুশানের ৫৮ আর মার্শের ৫০ রানে ২৮০ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
জেমস ভিন্স, স্যাম বিলিংসের ফিফটি পরও স্টার্কের ঝাঁজে ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ২০৮ রানে। ৪৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান বাঁহাতি পেসার স্টার্জের। ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন আরেক পেসার হ্যাজেলউড। লেগ স্পিনে জাম্পা ৪৫ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
২৮১ রান তাড়ায় নেমে স্টার্কের প্রথম ওভারেই ব্যাকফুটে চলে যায় সাদা বলের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। জেসন রায়কে কিপারের হাতে ক্যাচ বানান স্টার্ক। দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা দাবিদ মালানকে।
স্কোরবোর্ডে কোন রান জমা হওয়ার আগেই ২ উইকেট হারিয়ে ভড়কে যাওয়া ইংল্যান্ড খানিকটা প্রতিরোধের পরই আবার ধাক্কা খায়। দলের ৩৪ রানে ফিরে যান আগ্রাসী খেলতে থাকা ওপেনার ফিল সল্ট। ১৬ বলে ২৩ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান হ্যাজেলউড।
এরপর ভিন্স-বিলিংসের শতরানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইংল্যান্ড। ১২২ রানের জুটিটিও ভাঙেন এই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা হ্যাজেলউড। ভিন্স ৬০ করে ফেরার পর বিলিংসকে সঙ্গে দিতে পারেননি মঈন আলি। জাম্পার লেগ স্পিনে খেই হারায় তারা। ৮০ বলে ৭১ করা বিলিংসকেও ছাঁটেন জাম্পা। স্টার্ক-জাম্পা মিলে বাকিটাও দ্রুতই ছেঁটে ফেলেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং বেছে শুরুটা জুতসই হয়নি অজিদের। ডেভিড ওয়ার্নার (১৬), ট্রেভিস হেড (১৯)কে ৪৩ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। সময়মতই হাল ধরেন স্মিথ-লাবুশানে। তৃতীয় উইকেটে দুজনের ১০১ রানের জুটিতে বড় পুঁজির ভিত পেয়ে যায় অজিরা।
স্মিথ ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। ৬ রান দূরে থাকতে তাকে থামান লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। মার্শের ফিফটির পর স্লগ ওভারে অ্যাস্টন অ্যাগারের ১২ বলে ১৮ রানের ক্যামিও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে যায় ২৮০ রানের ঘরে।
Comments