পেশির টানে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়লেন লিটন

টেস্ট, টি-টোয়েন্টি কি ওয়ানডে। গত দুই বছর থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন লিটন কুমার দাস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এদিন শুরু থেকেই সাবলীল এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। এগিয়ে যাচ্ছিলেন কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কের দিকে। কিন্তু তার আগেই বড় ধাক্কা। পেশিতে টান লাগায় স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হলো তাকে।

শুক্রবার হারারের স্পোর্টস পার্কে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৪ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করেছে টাইগাররা। এনামুল হক বিজয় ব্যাট করছেন ১৮ রানে। নতুন ব্যাটার মুশফিকুর রহিম করেছেন ১ রান।

সিকান্দার রাজার করা ৩৪তম ওভারের প্রথম বলে স্কয়ার লেগে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়েছিলেন লিটন। দ্রুত রান নিতে গিয়ে ছুটেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ দিকে কিছুটা খোঁড়াতে থাকেন। এরপর মাঠেই পড়ে যান। ফিজিও এসে প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ না হলে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। দাঁড়াতেও পারেননি। যে কারণে স্ট্রেচারে করে নেওয়া ড্রেসিং রুমে।

মাঠে ছাড়ার আগে ৮১ রানে ব্যাট করছিলেন লিটন। এ রান করতে বল মোকাবেলা করেন ৮৯টি। ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন।

অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে শুরু থেকেই দেখে শুনে ব্যাট করছিলেন লিটন কুমার দাস। দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন তারা। দুই জনই তুলে নেন কাঙ্ক্ষিত ফিফটি। তবে এরপর তামিম খুব বেশিক্ষণ টিকতে না পারলেও আরেক ওপেনার লিটন খেলে যাচ্ছেন সাবলীলভাবেই।

রানের গতি বজায় রাখতে প্রায় নিয়মিত প্রতি ওভারেই বাউন্ডারি তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে আসে ৫১ রান। আপাতদৃষ্টিতে রান কিছুটা কম হলেও কোনো উইকেট হারায়নি তারা। পাওয়ার পেলে শেষেও একই ছন্দে খেলে যেতে থাকে দলটি। ২৪তম ওভারে আসে দলীয় শতক।

সিকান্দার রাজার করা ২৬তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন ভাঙে ওপেনিং জুটি। মূলত ফিফটি তুলে নেওয়ার রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তামিম। রাজার বলে মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন টাইগার অধিনায়ক। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট থার্ড ম্যানে সহজ ক্যাচ চলে যায় ইনোসেন্ট কাইয়ার হাতে।

৬২ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন তামিম। এ রান করেন ৮৮ মোকাবেলা করেন তিনি। মারেন ৯টি বাউন্ডারি। ভাঙে ১১৯ রানের জুটি। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসেন এনামুল হক বিজয়। তিন বছর পর ফের নামে ওয়ানডেতে। লিটনকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন। কিন্তু লিটনকেই ফিরতে হয় পেশির টানে। এরপর মুশফিকের সঙ্গে দলের হাল ধরেছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
problems in filing complaints in police stations

No scope to verify authenticity when cases are filed: IGP

Instructions have already been issued to ensure that no one is arrested in a harassing manner, he says

2h ago