এশিয়া কাপে খেলতে মুখিয়ে আছেন সাইফউদ্দিন

গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের জার্সিতে আর মাঠে নামা হয়নি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। এর মূল কারণ বারবার চোটের হানা। দুঃসময় কাটিয়ে দলে ফেরার লক্ষ্যে এবার বড় একটি পদক্ষেপ নিলেন তিনি। পুরো রানআপে সাইফউদ্দিন বল করলেন প্রথমবারের মতো। এতে আত্মবিশ্বাসের পালে হাওয়া লাগায় এশিয়া কাপে খেলতে মুখিয়ে আছেন তিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য গত জুনে দলে ডাকা হয়েছিল সাইফউদ্দিনকে। কিন্তু পুরো ফিট না হওয়ায় তাকে ছিটকে যেতে হয়। আবার শুরু হয় তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার মাঠে ফেরেন পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। বোলিংয়ে ঘাম ঝরানোর পর মিরপুরে তিনি মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের।

শেষ মুহূর্তে ক্যারিবিয়ান সফর থেকে ছিটকে যাওয়া নিয়ে সাইফউদ্দিন বলেছেন, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে (না খেলার) সিদ্ধান্তটা ছিল ব্যক্তিগত। মেডিকেল টিম আমার ওপর ছেড়ে দিয়েছিল। আমি শতভাগ দিতে পারছিলাম না বলে মেডিকেল টিমকে জানাই। এরপর ওরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন ভালো বোধ করছি। গত এক মাস অনেক কাজ করেছি। খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।'

ফেরার লড়াই নিয়ে তিনি যোগ করেছেন, 'আলহামদুলিল্লাহ ভালো। কিছু দিন আগে ভারতের দিল্লি থেকে চিকিৎসা নিয়ে এসেছি। এরপর প্রথম এক সপ্তাহ বেড রেস্ট ছিল। এক সপ্তাহ পর ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করেছি। দুই দিন হলো স্কিলের কাজ শুরু করেছি। আজ ফিজিও বায়েজিদ (বায়েজিদুল ইসলাম) ভাই আমার বোলিং দেখেছেন। সব মিলিয়ে পজিটিভ।'

নিজের শারীরিক অবস্থার অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন সাইফউদ্দিন, 'প্রথম থেকেই আজ ফুল রানআপে বল করেছি। ইনটেনসিটি হয়তো শতভাগ ছিল না। দিনকে দিন আস্তে আস্তে বাড়াব। যেহেতু আমার শরীর, আমি তো বুঝতে পারছি অবস্থা। আগের চেয়ে ভালো বোধ করছি বলেই আত্মবিশ্বাসী আমি।'

আসন্ন এশিয়া কাপে খেলার সম্ভাবনা রোমাঞ্চিত করছে তাকে, 'প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই লক্ষ্য থাকে এশিয়া কাপ খেলা। আমি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়েও এশিয়া কাপ খেলিনি। দুটি আইসিসি ইভেন্ট খেললেও এশিয়া কাপে খেলা হয়নি। এটা নিয়ে বাড়তি একটা রোমাঞ্চ কাজ করে। যদি সুযোগ পাই অবশ্যই আনন্দিত হব।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus joins stakeholders’ dialogue on Rohingya crisis in Cox’s Bazar

The three-day conference began with the aim of engaging global stakeholders to find solutions to the prolonged Rohingya crisis

1h ago