স্টোকসকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে খেলানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিলেন টেইলর
জন্ম নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হলেও বেন স্টোকস ক্রিকেট দুনিয়ায় তারকা হয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করে। ২০১৯ সালে ইংলিশদের প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ে তার ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তবে মাতৃভূমির হয়েই আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেরাদের একজন হয়ে উঠতে পারতেন তিনি! সেটা হয়নি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (এনজেডসি) আগ্রহের ঘাটতির কারণে। এমন তথ্য জানিয়েছেন সাবেক কিউই ব্যাটার রস টেইলর।
সম্প্রতি নিজের আত্মজীবনী 'ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট' প্রকাশ করেছেন টেইলর। সোমবার সেটার কিছু অংশ প্রকাশ করেছে নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যম স্টাফ। সেখানেই টেইলর তুলে ধরেছেন স্টোকসকে কিউইদের জার্সিতে খেলানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি। ২০১০ সালে ইংলিশ কাউন্টি দল ডারহামে একসঙ্গে খেলতেন দুজনে। স্টোকসের নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করার আগ্রহের কথা বোর্ডের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাস্টিন ভনকে জানিয়েছিলেন টেইলর। কিন্তু আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।
টেইলর লিখেছেন, 'তার (স্টোকস) বয়স ছিল ১৮ বা ১৯ এবং সে ছিল আপাদমস্তক একজন কিউই (চিন্তা-চেতনায়)।
একদিন পানাহারের সময় আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে সে নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে চায় কিনা। সে খুব আগ্রহী ছিল বিধায় আমি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সিইও কর্মকর্তা জাস্টিন ভনকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে বলেছিলাম, এই স্টোকস ছেলেটা সত্যিই খুব ভালো ক্রিকেটার এবং নিউজিল্যান্ডের পক্ষে খেলতে আগ্রহী।'
ভন উত্তরে যা লিখেছিল তা এরকম ছিল যে সে (নিউজিল্যান্ডে গিয়ে আগে) ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা শুরু করতে পারে এবং তারপর আমরা দেখব কী ঘটে। আমি তাকে পরে বললাম, আমরা তাকে (স্টোকস) এটার চেয়ে ভালো কিছুর প্রস্তাব দিতে পারি। কারণ, আবার একেবারে গোড়া থেকে শুরু করতে চাইবে না সে। অবধারিতভাবে শেষ পর্যন্ত কোনো কিছুই হয়নি।
বেন নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে খুব আন্তরিক ছিল। কিন্তু এনজেডসিকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হতো এবং তাকে দৃঢ় আশ্বাস দিতে হতো, যেটা করতে ভন স্পষ্টতই প্রস্তুত ছিলেন না।'
১২ বছর বয়স পর্যন্ত স্টোকস নিউজিল্যান্ডেই ছিলেন। এরপর তার বাবা ও সাবেক রাগবি খেলোয়াড় জেরার্ড স্টোকসের চাকরির সুবাদে পরিবারের সঙ্গে তিনি পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। ঘরোয়া পর্যায় পেরিয়ে তিনি ২০১১ সালে জায়গা করে নেন জাতীয় দলে। বর্তমানে ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা স্টোকস গত জুলাইতে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে আচমকা অবসর নিয়েছেন।
Comments