সূর্যকুমারকে ভিলিয়ার্সের সঙ্গে তুলনা করলেন পন্টিং

উইকেটের চারপাশে তো শট খেলা তো বটেই দুরূহ কোনেও সড়গড় হওয়ায় এবিডি ভিলিয়ার্সের নাম হয়ে গিয়েছিল 'মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি'। সূর্যকুমার যাদবের মাঝে এরকমই দক্ষতা দেখতে পাচ্ছেন রিকি পন্টিং। ভারতীয় এই ব্যাটসম্যানকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক।
তারকার ভরা ভারতের হয়ে এ পর্যন্ত ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন সূর্যকুমার। তাতে তার রেকর্ড চোখ ধাঁধানো। ৩৭.৩৩ গড়ে করেছেন ৬৭২ রান। তার স্ট্রাইকরেট রীতিমতো অবিশ্বাস্য- ১৭৫.৪৫!
আইপিএল দিয়ে স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে আলো ছড়ানো এই ডানহাতি ২১৭ ম্যাচে ৩১.৯৯ গড় আর ১৪৪.৫৯ স্ট্রাইকরেটে করে ফেলেছেন ৪ হাজার ৮৯৫ রান। দুর্দান্ত এই নৈপুণ্যের জোরে ব্যাটারদের আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে তার অবস্থান এখন দুই নম্বরে।
আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ঝলক দেখান সূর্যকুমার। এই তরুণ জাতীয় দলে যেন আরও দুর্বার। আইসিসি রিভিউতে আলোচনায় সূর্যকুমারের প্রসঙ্গ আসতে পন্টিং যেন ভাসলেন স্তুতিতে, 'সূর্য ফর্মের তুঙ্গে থাকা এবিডি ভিলিয়ার্সের মতো মাঠের ৩৬০ ডিগ্রি জুড়ে রান করে। ল্যাপ শট, লেট কাট, কিপারের মাথার ওপর দিয়ে র্যাম্প শট যেমন খেলে, সোজা ব্যাটে বোলারের উপর দিয়েও উড়িয়ে দেয়।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে সূর্যকুমারের কয়েকটি শট নেট জগতে হয় ভাইরাল। পন্টিং মনে করেছেন স্পিন-পেস দুই আক্রমণেই সমান সাবলীল সূর্য, 'ও লেগ সাইডে অসাধারণ। ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দারুণ ফ্লিক খেলে। পেসারদের বিপক্ষে যেমন ভালো, স্পিনারদের বিপক্ষেও তাই।'
'তার ভেতর প্রবল আত্মবিশ্বাস। চ্যালেঞ্জ নিতে কখনো পিছু হটে না। যেকোনো পরিস্থিতিতেও কাবু হয় না। সে ভাবে জিততে পারবে, এজন্যই দলকে জেতায়।'
ভারতে অনেক তারকার ভিড় থাকলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সূর্যকুমারের জায়গা নিয়ে কোন সংশয় দেখছেন না পন্টিং। বরং তার আশা অস্ট্রেলিয়ার মানুষরা দারুণ একজনের দেখা পাবে, 'আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে ও থাকবে তো বটেই, একাদশেও থাকবে। ও থাকলে অস্ট্রেলিয়ার দর্শকরা দারুণ একজনের ব্যাটিং দেখতে পাবে।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সূর্যকুমারকে রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করতে দেখা গেছে। তবে এশিয়া কাপ থেকে এমনটা নয়, পন্টিং মনে করেন এই ডানহাতির আদর্শ জায়গা চার নম্বর, 'সূর্যকুমার খেলতে পারে এক, দুই না হলে চার নম্বর পজিশনে। তিনে আমি বিরাট কোহলিকেই দেখতে চাই।'
'আমি মনে করে চার নম্বরই সূর্যকুমারের আসল জায়গা। পাওয়ার প্লের পর মাঝের সময়টা নিয়ন্ত্রন করে খেলাটা অন্যদিকে নিয়ে যেতে পারে সে।'
Comments