গতি-বাউন্সে কাবু মিঠুনরা ৮০ রানেই অলআউট
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুটি চারদিনের ম্যাচেরই ফয়সালা হয়নি। বৃষ্টির কারণে খেলায় আসেনি ফল। কিছু ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে স্বস্তি খুঁজছিলেন মোহাম্মদ মিঠুনরা। একদিনের সিরিজে নেমে সেই পরিস্থিতিও নেই। ক্যারিবিয়ান পেসারদের বাউন্স, গতিতে কাবু হয়ে প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র ৮০ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ 'এ' দল।
সেন্ট লুসিয়ায় আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশের দলটি জাস্টিন গ্রেইভ, অ্যান্ডারসন ফিলিপ, শেরমন লুইসদের পেসে মাত্র ২৩.২ ওভারে ৮০ রানেই আটকে গেছে। দলের হয়ে তিন অঙ্কে যেতে পারেন মাত্র তিনজন ব্যাটার। কিপার ব্যাটার জাকের আলি অনিক করেন সর্বোচ্চ ২৫ রান। ২০ বলে তিন চারে ১৫ করেন সৌম্য। অধিনায়ক মিঠুন ২০ বলে করেন ১২। এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির দলে ডাক পাওয়া সাব্বির রহমান ৬ বলে আউট হন ৩ রান করে।
ওই রান টপকে যেতে ঠিক ২৩.২ ওভারই খেলতে হয়েছে ক্যারিবিয়ানদের। তবে তাদের কাজটাও এত সহজে আসেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলটিও হারায় ৬ উইকেট। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ দুটি করে উইকেট নেন। রাকিবুল হাসান ও সৌম্য পাব একটি করে উইকেট। ৪ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুঃস্বপ্নের শুরু হয় বাংলাদেশ 'এ' দলের। ক্যারিবিয়ান পেসারদের তোপের মুখে পড়ে সফরকারীদের ব্যাটিং। অ্যান্ডারসন ফিলিপসের প্রথম ওভারেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাঈম শেখ। আরেক ওপেনার সৌম্য ছিলেন স্থির। উইকেটের পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছিলেন তিনি। বাউন্ডারিও পেয়ে গিয়েছিলেন। তাকে সাবলীলই লাগছিল। তিনে নামা সাইফ হাসান অবশ্য বাড়ান চাপ। শেরমন লুইসের ভেতরে ঢোকা বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।
১৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পরও সৌম্য ছিলেন ইতিবাচক। ফিলিপসকে পুল করে পেয়ে যান বাউন্ডারি। থিতু হয়ে গিয়েছিলেন রানে- বলে তাল রেখে। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন এসেও দ্রুতই দুই অঙ্কে চলে যান। এই দুজনকে মনে হচ্ছিল জুটি পাবেন। কিন্তু ফিলিপসের বলেই ভুল করে বসেন সৌম্য। বাউন্সারে টাইমিং করতে না পেরে ক্যাচ দেন স্কয়ার লেগে। শেষ হয় তার ২০ বলে ১৫ রানের ইনিংস।
এরপর নামে ধস। জাস্টিন গ্রেইভস একে একে তুলে নেন মিঠুন, সাব্বির ও মাহমুদুল হাসান জয়কে। মিঠুন পুল করতে গিয়ে টাইমিং করেন গড়বড়। ক্যাচ যায় কিপারের হাতে। ক্রিজে এসে নিজেকে থিতু করতে পারেননি সাব্বির। জাস্টিনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট লাগিয়ে ধরা দেন কিপারের হাতে। এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির দলে থাকা ব্যাটার করেন ৬ বলে ৩ রান। জয়ের আউটও হুবহু একই রকম। খোঁচা মেরে তিনিও বন্দি কিপারের গ্লাভসে। ১৫ বলে করেন কেবল ৪ রান।
মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, নাঈম হাসানদের দ্রুত তুলে নেয় ক্যারিবিয়ানরা। ৫০ রানে ৮ ও ৬২ রানে ৯ উইকেট হারানো দল শেষ পর্যন্ত ৮০ রানে যেতে পারে অনিকের ব্যাটে। এই কিপার ব্যাটসম্যান শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেন ৪১ বলে ২৫ রান।
Comments