শুরুতে ওপেনারই ছিলেন মুশফিক!

shakib al hasan and mushfiqur rahim
অনুশীলনের ফাঁকে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ছবি- ফিরোজ আহমেদ/স্টার

এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে বাংলাদেশ রেখেছে কেবল দুজন নিয়মিত ওপেনার। সেই দুজনও দলে থিতু নন। ওপেনারের ঘাটতি মেটাতে তাই মিডল অর্ডারের কাউকেই দেওয়া হতে পারে সে ভার। এই আলোচনায় জোরালোভাবে আছেন মুশফিকুর রহিম। তাকে এশিয়া কাপে ওপেন করতে দেখা যেতে পারে। মুশফিকের ছোটবেলার কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানালেন, বিকেএসপিতে শুরুতে ওপেনারই ছিলেন মুশফিক।

ফাহিম অবশ্য নিয়মিত ওপেনারদের উপেক্ষা করে মুশফিকের ওপেনিং নিয়ে আলোচনার পক্ষে নন। এশিয়া কাপের জন্য গত কয়েকদিন ধরেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন মুশফিক। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তার অনুশীলনে সাহায্যের জন্য এসেছিলেন ফাহিম।

এই সেশনের পর সংবাদ মাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে এই অভিজ্ঞ ব্যাটারের ওপেনিং নিয়ে দিয়েছেন মত, তার মতে দলে থাকা এনামুল হক বিজয় ও পারভেজ হোসেন ইমনকেই সমর্থন দেওয়া উচিত,  'আসলেই (ওপেনিং) করবে কিনা জানি না। কারণ দুজন স্বীকৃত ওপেনার আছে আমাদের দলে। আলোচনাটা যদি মুশফিককে নিয়ে বেশি করি, ওই দুজন খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। আমার মনে হয় দুজনকেই ব্যাক করা উচিত, যেন ওরা ভালো করতে পারে। সেটা পারলে সেরা হবে। যদি ওদের মধ্যে কেউ ব্যর্থ বা অসুস্থ হয় তাহলে হয়তো মেক শিফট অপশনের ব্যাপার আসবে।'

নিয়মিত ওপেনাররা না পারলে বিকল্প হিসেবে আসতে পারেন মুশফিকও। কারণ একটা সময় নাকি ওপেনারই ছিলেন তিনি,  'সেখানে বোধ হয় অনেক অপশন আছে আমাদের হাতে যারা সাধারণত নিচে খেলে কিন্তু প্রয়োজনে ওপেন করেছে। মুশফিকও হতে পারে, ও যখন খেলা শুরু করেছিল, বিকেএসপিতে ওপেনার হয়েই এসেছে এটা আমি জানি ব্যক্তিগতভাবে। পরে ক্যারিয়ারের কারণে ও মিডল অর্ডারে চলে এসেছে। অবশ্যই  ও মিডল অর্ডারের একজন ব্যাটার, ওপেন করাটা সবসময় চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। আমি জানি না ও নিজেকে কতটা প্রস্তুত করতে পারবে। কিন্তু ওর অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগবে। যদি দরকার হয় মুশফিক ও অন্যরাও আছে।'

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই টি-টোয়েন্টিতে অনিয়মিত মুশফিক। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তাকে বিশ্রামের আদলে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের সিরিজে খেললেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে নেন ছুটি। জিম্বাবুয়ে সফরেও টি-টোয়েন্টিতে রাখা হয় বাধ্যতামূলক বিশ্রামে। ওয়ানডে সিরিজে দলে এলেও তার ব্যাটিং পরিস্থিতির দাবি পূরণ করেনি।  ফাহিমের আশা সব সংকট কাটিয়ে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের চাহিদা মেটাতে পারবেন একশো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা ব্যাটার,  'আমার মনে হয় মুশফিকের ক্ষেত্রে আমি খুব আশাবাদী। আশা করেছিলাম জিম্বাবুয়েতে পাওয়ার হিটিংয়ের সুযোগ নেবে, নেওয়ার সুযোগ ছিল (ওয়ানডেতে। প্রথম ম্যাচে ফিফটি করেছিল, এমন একটা জায়গায় ছিল পাওয়ার হিটিং করতে পারতো, কেন সুযোগটা নেয়নি আমি জানি না। তবে আমার মনে হয় ও নিজেও আস্তে আস্তে বুঝতে পারছে পাওয়ার হিটিংটা কী।  আজকেও দেখলাম কিছু ভালো শট খেলেছে। আমি নিশ্চিত সামনে আর দু চারদিন অনুশীলন করলে, আরও বেশি আয়ত্বে আসবে, ও হয়তো আরও এফেক্টভলি ওভার দ্য টপ খেলতে পারবে।  টি-টোয়েন্টিতে চার ছক্কা মারার যে ব্যাপার, সেটা সফল হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Parties agree on chief justice appointment, limiting emergency powers

Manifesto provision allows top-two judge choice; cabinet to approve emergency declaration

42m ago